সিলেট: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ চলছে।
কিন্তু বিভাগীয় সমাবেশস্থলে কিছু দূরে দূরে পড়ে রয়েছে খাবারের উচ্ছিষ্টের স্তূপ।
সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, গতরাতে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন করা হয়েছিল মাঠেই। মাঠের বিভিন্ন বুথ থেকে নেতাকর্মীদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল। সেই খাবারের উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সমাবেশস্থলে।
অথচ সমাবেশের প্রস্তুতিকালে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরের আলিয়া মাঠ পরিচ্ছন্নসহ মাটির ভরাট কাজে সহযোগিতা করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে রোলার কোস্টার এবং মাঠের ধুলাবালি নিরসনে বিশুদ্ধ খাবার পানি গাড়ি দিয়ে ব্যবহার করেছে সিসিক।
সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীর ব্যবহারের জন্য সিদ্দিকের ভিআইপি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের গাড়িও রাখা হয়েছিল ভিআইপি সড়কে।
অথচ সমাবেশের দিন দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। নগরের আলিয়ামাঠ আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করে রেখেছেন নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, এটা বিএনপির প্রোগ্রাম নয় সিসিকের প্রোগ্রাম। যে কারণে পিসি উদ্যোগী হয়ে আগেভাগেই সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবে।
গণসমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে দুদিন আগ থেকেই সমাবেশস্থলে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হন। সিলেট জেলা ও মহানগরসহ বিভিন্ন স্থানের নেতাদের উদ্যোগে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের খাবার এবং ক্যাম্প করে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।
তবে আজ সকালে বিএনপির সমাবেশস্থল আলিয়া মাঠের সর্বত্রই খাবারভর্তি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাঠে থাকা কয়েকজন জানিয়েছেন- পোলাওয়ের মাংস খেয়ে পোলাও ফেলে দিয়েছেন অনেকে। এ জন্য অনেক খাবারের অপচয় হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় এই গণসমাবেশ।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে এসব বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি।
এরআগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগে গণসমাবেশ করেছে দলটি।
আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এনইউ/এসএ