ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে আদালতে দাবি জানাতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে আদালতে দাবি জানাতে হবে’

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে আদালতে দাবি জানানোর কথা বলেছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।

রোববার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বনাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এমএ মতিনের গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সাবেক আইজিপি বলেন, এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান তারা আদালতে গিয়ে দাবি তুলবেন। আদালত অনুমোদন না দিলে তো কিছু করা যাবে না। এটা আদালত অবমাননা। আপনি রাজনীতি করবেন, দেশ চালাবেন আর আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে না এটা হতে পারে না।

এ কে এম শহীদুল হক আরও বলেন, যেই তত্ত্বাবধায় চলে গেছে, সেটা আসার আর কোনো সুযোগ নেই। এখন কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন কী পন্থায় করা যায় সেই চিন্তা করেন।

তিনি বলেন, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকালাপে ত্যক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেই ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, সেই জিনিসটাকে কি আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার কোনো সুযোগ আছে?

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে পুলিশের সাবেক আইজিপি বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসবেন না, এইটা কোনো ভালো চিন্তা না। সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। আপনারা রূপরেখা দেন যে, আমরা নির্বাচনকালীন সরকারে এমনটা করতে চাই। আপনারা দুই দল বসেন, জনগণকে বাঁচান।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছে উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপিকে ৫টি মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করার অনেক চেষ্টা করেছে। টেলিফোন করেছিলেন বিরোধীদলের নেত্রী খালেদা জিয়াকে। আমরা তো শুনেছি তার কথা। দেশের সিটিং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গে যেই আচরণটা করলেন!

শহীদুল হক বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসবেন না, তা শোভা পায় না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসেননি। নির্বাচন কিন্তু বসে নেই, নির্বাচন হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সবাই সেই সরকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছে। সেই ২০১৪ সালের তুলনায় আওয়ামী লীগ এখন আরও অনেক শক্তিশালী।

মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব সউম আবদুস সামাদ। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা করেন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।