ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

১৯ বছরেও বিচার হয়নি ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী হত্যার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
১৯ বছরেও বিচার হয়নি ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী হত্যার আমিনুর রহমান খান বাপ্পী

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পী হত্যা মামলা ১৯ বছরেও নিস্পত্তি হয়নি।  

সোমবার (২১ নভেম্বর) তার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মামলাটি আদালতে সাক্ষীর পর্যায়ে রয়েছে। হত্যাকারীদের বিচারের দাবির মধ্য দিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পী ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। এসময় বাপ্পির অপর সঙ্গী আব্দুল মতিনও সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। ঘটনার পরদিন নিহত বাপ্পির বাবা আতাউর রহমান খান (বর্তমানে টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালিন চেয়ারম্যান জামিলুর রহমান মিরন, বিএনপি নেতা আইনজীবী আলী ইমাম তপন, পৌর কাউন্সিলর রুমি চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আব্দুর রউফসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

বাপ্পী হত্যার পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইল এসে বাপ্পীর পরিবারকে সান্তনা দেন। টাঙ্গাইলে আয়োজিত জনসভায় বাপ্পী হত্যার বিচারের দাবিও জানান।

মামলাটি প্রথমে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। ২০০৭ সালের ১২ জুলাই তদন্ত শেষে আদালতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার তদন্তকালেই সন্ত্রাসী হামলায় এই মামলার আসামি রুমি চৌধুরী ও আব্দুর রউফ নিহত হন।

বর্তমানে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।  

আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি ২০০৭ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় তা আবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, মামলার ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তুফান ইকবাল নামক একজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এখন আসামি পক্ষ থেকে তাকে জেরা করা হলেই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হবে। তারপর যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের পর্যায়ে যাবে।

আমিনুর রহমান বাপ্পীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আজহার আলীকে আহ্বায়ক এবং পৌর কাউন্সিলর মামুন জামান সজলকে সদস্য সচিব করে সাহাদাৎ বার্ষিকী প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির উদ্যোগে সকালে আমিনুরের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, শোক শোভাযাত্রা ও কবর জিয়ারত, কোরআন তেলোয়াত, দুপুরে গণভোজ এবং সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে আমিনুরের বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান এবং বাপ্পীর ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা অংশ নেবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি আব্বাস আলী বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ দিন হয়ে গেল আমিনুর রহমান খান বাপ্পী হত্যার বিচার এখনো হলো না। তিনি দ্রুত এই হত্যা মামলার বিচারের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad