ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুর রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় এনজিওর তামাকবিরোধী মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাঠে নয়, নয়াপল্টনের রাস্তায় করতে চায়, এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহর এবং আশপাশে এতো মাঠ থাকতে ওনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্যে কী? নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এই উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।
মির্জা ফখরুলের মন্তব্য, কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না- এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি। বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারতো না।
বরং বিএনপি বাধা দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। দেশব্যাপী আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছি, যাতে করে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে। তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।
জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। খালেদা জিয়া জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠী আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়, কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান তারধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবুরা যাই বলুক না কেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলে গেছেন- বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ। ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করব তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন। আর বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলছেন, সেটাও শুনবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড