ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, মাধ্যমে বিএনপি রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কেন নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায় সেটি সহজেই অনুমেয়। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তারা ওই হেফাজতে ইসলাম যে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, সে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। তারা প্রয়োজনে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস- এগুলো করতে চায়। মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা করতে চায় দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির জন্য। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সেটি হতে দেবে না। ১০ ডিসেম্বর আমাদের কর্মীরা, আমাদের নেতারা ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে।
তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কী কারণে নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়? ওনারা বিশাল সমাবেশ করবেন, কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে একটা টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ। নয়া পল্টনের সামনে কোনরকমে ৫০ হাজার মানুষ ধরে, পুরো রাস্তা একেবারে এক কিলোমিটার পর্যন্ত যদি বন্ধ করা যায়। তো নয়াপল্টনে করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায়, এ সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।
তিনি বলেন, আর সমাবেশ কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে করতে হবে? আমরা কী কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করি? তারা অন্যান্য জায়গায় যেসব সমাবেশ করেছে সেগুলোওতো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করতে বলছে যে বিশাল মানুষ হবে, সেরকম মাঠতো ঢাকা শহরে নেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও তা নয়। তো সেরকম যদি করতে চায় পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গা দেখি না। ১০ লাখ, ২০ লাখ মানুষের জন্য পূর্বাচল ছাড়া তো জায়গা নেই আসলে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলায় একটা কথা আছে খালি কলসি বাজে বেশি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে খালি কলসির মতোই। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যেভাবে বাগাড়ম্বর তারা করছেন, এতে মনে হচ্ছে তাদের খালি কলসি বেশি বাজছে। তারা তো একদফার আন্দোলনে আছেন। সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন গত ১২-১৩ বছর ধরে। ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কী হবে; সেটা আমরা জানি ও বুঝি। কারণ তারা তো সারাদেশে সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন। কোনো কোনো জায়গায় তারা সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করেছেন।
তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক দিয়েছিল, তার কোনো প্রতিফলন ছিল না। আমাদের একটি জেলার কোনো একটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে যত মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশেগুলোতেও সে রকম ছিল না। তারা বারবার একই লোককে জড়ো করেছেন। সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল থেকে লঞ্চে করে তাদের লোকজন চট্টগ্রামে গিয়েছিল। সিলেটের সমাবেশে গেছে কুমিল্লা থেকে, ঢাকা থেকেও গেছে। এখানেও কী হবে; আমরা জানি, বুঝি। তবে তারা যাতে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য সরকার সর্বোতভাবে সহায়তা করে এসেছে। আর সে জন্যই তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পেরেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বিরোধীদলে ছিলাম, তারা (বিএনপি) যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে। বহু মানুষকে হতাহত করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। তাদের সমাবেশে আজ পর্যন্ত একটি পটকাও ফোটেনি। সরকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিধায় এভাবে নির্বিঘ্নে তাদের পক্ষে সমাবেশ করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
জিসিজি/এমএমজেড