পাবনা (ঈশ্বরদী): ঈশ্বরদী শহরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শীর্ষ সাত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ১৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হননি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদীউল ইসলাম বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন—পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন, বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ সুলভ মালিথা, যুবদল নেতা জাকির হোসেন জুয়েল, সুলতান আলী বিশ্বাস টনি, শরিফুল ইসলাম শরিফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসান, সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন।
যুবদলের নেতা জাকির হোসেন জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, চলমান আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই জন্য পুলিশ রহস্যজনক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। হামলা-মামলা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদীউল ইসলাম জানান, বুধবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার অভিযোগে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃত্ব পর্যায়ের সাত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। আসামিদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী শহরের ভেলুপাড়া আলহাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলের বিএনপির নেতাকর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬টি তাজা ককটেল বোমা জব্দ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এমজেএফ