ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রিফুয়েলিংয়ে যাচ্ছে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২য় ইউনিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
রিফুয়েলিংয়ে যাচ্ছে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২য় ইউনিট

ঢাকা: বর্তমানে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভের দ্বিতীয় ইউনিটে প্রথম রিফুয়েলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার পেভেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে কেএলটি KLT-40S মডেলের দুটি রিয়্যাক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটে রিফুয়েলিং সম্পন্ন হয়।
 
রিফুয়েলিংয়ের জন্য ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি প্রস্তুত ও সরবরাহ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটম।

রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রচলিত বৃহদাকারের স্থলভিত্তিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রতি ১২-১৮ মাস অন্তর রিফুয়েলিং করা হয়ে থাকে। এ সময় মোট জ্বালানির একটি অংশ মাত্র পুনঃস্থাপন করা হয়। অন্যদিকে ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কম ক্ষমতা সম্পন্ন রিয়্যাক্টরগুলোতে রিফুয়েলিং করা হয় কয়েক বছর পর পর। এক্ষেত্রে পুরো রিয়্যাক্টর কোর আনলোড করে পুরো জ্বালানি প্রতিস্থাপন করা হয়। KLT-40S রিয়্যাক্টর কোরে থাকে জ্বালানি অ্যাসেম্বলি, নিয়ন্ত্রণ রড এবং স্টার্ট-আপ নিউট্রন উৎস।

একাডেমিক লামানোসভের দ্বিতীয় ইউনিটে রিফুয়েলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা জ্বালানি অ্যাসেম্বলি ইতোমধ্যে রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরিটাইম রেজিস্টার অফ শিপিংয়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন লাভ করেছে। এই রিয়্যাক্টরের জন্য জ্বালানির এক্সেপটেন্স সনদ দিয়ে থাকে এই কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৭৬ মেগাওয়াট এবং তাপ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪৪ মেগাওয়াট। পেভেক অঞ্চলের এক লাখ বাসিন্দার বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাচ্ছে এই কেন্দ্রটি।

বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ ক্ষুদ্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কম বিনিয়োগ, নির্মাণে কম সময় ব্যয়, স্থানান্তরযোগ্যতা, দীর্ঘ সময় অন্তর রিফুয়েলিং এবং দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলে দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।