ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

১শ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করল কুদানকুলাম এনপিপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
১শ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করল কুদানকুলাম এনপিপি

ঢাকা: রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটমের সহায়তায় নির্মিত কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম দুটি ইউনিট থেকে ভারতের জাতীয় গ্রিডে এখন পর্যন্ত মোট ১শ বিলিয়ন কিলোওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। ১০ বছর ধরে ওই ইউনিট দুটি দক্ষতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।

 

সোমবার (২৯ জুলাই) রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, বর্তমানে ইউনিট দুটি রুটিন মোডে পরিচালিত হচ্ছে এবং এগুলোর দক্ষতা রেটেড ভ্যালুর চেয়ে বেশি। কুদানকুলাম এনপিপির ওই দুটি ইউনিট চালু হওয়ার পর প্রতিবছর ১৬ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমানো সম্ভব হয়েছে। ভারতের ৫০ মিলিয়ন পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

এখন রসাটমের সহায়তায় প্রতিটি এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও চারটি ইউনিট নির্মানের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর স্টার্টআপের পর দেশটির পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বাড়বে।

এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের (এএসই) ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কন্সট্রাকশন) আলেক্সি ঝুকভ জানান, পরীক্ষিত ডিজাইন ও নির্ভরযোগ্য ইক্যুইপমেন্টের ব্যবহার, উচ্চমানের নির্মাণ কাজ এবং স্থাপন ও কমিশনিংয়ের ফলে কুদানকুলাম এনপিপির অপারেশন দক্ষতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। ডিজাইন থেকে অপারেশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে রুশ এবং ভারতীয় বিশেষজ্ঞারা যৌথভাবে কাজ করেছেন। প্রত্যেকেই তাদের এক্সপার্টাইজ প্রমাণ করার ফলে এমন একটি কমপ্লেক্স ও দক্ষ স্থাপনা নির্মান সম্ভব হয়েছে যা মান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কঠিনতম চাহিদাগুলো পূরণে সক্ষম।

রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে ১৯৮৮ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি এবং ১৯৯৮ সালের সংযোজনীর অধীনে কুদানকুলাম এনপিপি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটিতে ছয়টি পাওয়ার ইউনিট নির্মিত হচ্ছে। এর প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াট।

বাংলাদেশের রূপপুরেও রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের শেষের পর্যায়ে। ভিভিইআর-১২শ রিয়্যাক্টরভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২শ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।