ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

বরিশাল: বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জস্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপডিকো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা সমন্বয়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর নেতৃত্বে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সমন্বয়ক আরিফুর রহমান মিরাজ, দপ্তর সম্পাদক রুবিনা ইয়াসমিন, সাবেক শিক্ষক মাসুদ চৌধুরী, সমাজসেবক বিলিয়ন পলাশ, শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান মিয়া, ব্যবসায়ী লিটন হাওলাদার, শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্রনেতা আকিউর রহমান লিমন প্রমুখ।

আমানতগঞ্জ বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বরিশালে এই ভোগান্তির প্রি-পেইড মিটার বিতরণ বন্ধ করতে হবে। আমরা আর ভোগান্তির কবলে পড়তে চাই না। প্রি-পেইড মিটারের বদলে আগের মিটারেই বিদ্যুৎ বিতরণ চলবে, তবে পুরোনো মিটারের ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। মিটার রিডারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের ঝামেলা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে।

সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ওজোপাডিকো অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি দিয়ে তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গত ১৮ আগস্ট থেকে বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী ও নানা মহল এবং পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বিভিন্ন বিরূপ অভিজ্ঞতা ও প্রভাবের বিষয়ে অবগত হয়েছি। এক কথায় প্রি-পেইড মিটার একটি জটিল মিটার, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হওয়া ছাড়া আর কোনো তথ্যই সামনে আসছে না। কাজেই বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করলে অন্য জায়গার মতো এখানকার ব্যবহারকারীরা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হবেন।

গ্রাহকরা বলেন, আমাদের দাবি ওজোপাডিকো বরিশাল শাখার পক্ষ থেকে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। নয়তো নগরবাসী নিজেদের স্বার্থে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

গ্রাহক মুশফিকুর রহমান বলেন, এমনিতেই বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো গণশুনানি না করে কৌশলে বিদ্যুতের দাম যেমন বাড়িয়ে চলছে, তেমনি বর্তমান মিটারে বিলের কাগজে রিডিং স্লাবের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। ফলে গত ২-৩ মাস ধরে নগরবাসী আগের থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে। তার ওপর অন্য সকল জায়গাতে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো প্রি-পেইড মিটার এখানে বসালে আরও বোঝা হয়ে যাবে। এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর চানমারি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।