খুলনা: ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। এর অংশ হিসেবে রোববার (২৫ মে) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খুলনায়ও এই কর্মবিরতি চলছে।
খালিশপুরের কাশিপুরে পদ্মা-মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। স্ব স্ব ডিপোর সামনে ট্যাংকলরি রেখে দিয়েছেন শ্রমিকেরা।
ট্যাংকলরি ভবনের সামনে মালিক ও শ্রমিকেরা অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে খুলনার ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় তেল বিপণন, পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মালিক সমিতির নেতারা জানান, এর আগে ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি কমিশন বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফল মেলেনি। এর ওপর জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানে অনেক গুণে বাড়লেও তাদের কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে তারা প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান দামের ৭ শতাংশ হারে কমিশন দেওয়ার দাবি জানান। অবিলম্বে ১০ দফা বাস্তবায়ন না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন নেতারা।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, পরিবেশ, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্সের বিধান বাতিল করা। ঘরের মধ্যে বা খোলা স্থানে অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করা এবং ডিলারশিপ ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করা।
ট্যাংকলরির চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজ করা। সড়কে যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা না করে তা তেলের ডিপো গেটেই সম্পন্ন করা। সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা ইত্যাদি।
খুলনা জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এস এম মুরাদ হোসেন বলেন, ১০ দফা দাবিতে রোববার ভোর থেকে খুলনার ডিপোগুলো থেকে কোনো তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন করা হচ্ছে না। দুপুর ২টা পর্যন্ত আমাদের এ ধর্মঘট চলবে।
এমআরএম/আরএইচ