ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক সোমবার

সারাদেশে পেট্রোল পাম্প- ট্যাংকলরি ধর্মঘট চলছে

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
সারাদেশে পেট্রোল পাম্প- ট্যাংকলরি ধর্মঘট চলছে

ঢাকা: ৯দফা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি ধর্মঘট চলছে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটকে সর্বাত্বক দাবি করেছেন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

অন্যদিকে রাজধানীর অনেক পাম্পে তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক নাজমুল হক দাবি করেছেন, ঢাকার ৪টি পাম্প রয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন। তারা আমাদের সদস্য নয়। শুধু সেখানেই তেল বিক্রি হচ্ছে। অন্যগুলোতে সর্বাত্বক ধর্মঘট চলছে।

সকাল ১০ টা পযর্ন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি। ধর্মঘট প্রত্যাহারে পরোক্ষভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন নাজমুল হক।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের(বিপিসি) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখন পর‌্যন্ত কোন সমঝোতা হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারেন।

সম্ভবত এর আগে কোন বৈঠক হচ্ছে না বলেও জানান বিপিসি চেয়ারম্যান।

সকাল ৯ টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বিপরীতে অবস্থিত রহমান পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবার কাছেই তেল বিক্রি করা হলেও পাম্পটির ক্যাশিয়ার হামিদুল হক জানান, “আমরা শুধু পুলিশের কাছে তেল বিক্রি করছি। ”

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার চাপ রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,“ দু’জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে তাদের গাড়িতে তেল বিক্রি তদারকি করার জন্য। অন্য বিষয়ে চাপ নেই। ”

ডিউটিরত পুলিশ সদস্য রাশেদ জানায়, আমরা শুধু পুলিশের গাড়িতে তেল তোলার বিষয়টি তদারকি করছি।

অন্যদিকে মতিঝিল পুবালী ফিলিং স্টেশন, রমনা ফিলিং স্টেশন পুরোপুরি বন্ধ দেখা গেছে।

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পরিবহন প্রতিষ্ঠান শ্যামলী পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মন্টু ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, “দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে সন্ধ্যার দিকে গিয়ে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ”

পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সরকার গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জ্বালানি তেল বিক্রিতে ডিজেলে ৩ দশমিক ৪ ভাগ, পেট্রোল ও অকটেনে ৪ ভাগ কমিশন নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন।

ট্যাঙ্ক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি, এর চালকদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও কাগজপত্র নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন; ট্যাঙ্ক-লরি চালকদের প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে পাঁচ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা চালু।

পেট্রোল পাম্প স্থাপনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক একতরফাভাবে প্রণীত নীতিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ, চট্টগ্রাম, ফতুল্লা, দৌলতপুর-খুলনা, চাঁদপুর ও সিলেটসহ যেসব স্থানে টার্মিনাল নেই সেখানে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ ও গোদনাইলে পদ্মা ও মেঘনা টার্মিনাল সংস্কার।

 তেলের ভেজাল রোধ করা ও অবৈধ তেল বিক্রি বন্ধ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ ও শ্রমিক নেতা মীর মোকসেদ ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
ইএস./সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।