ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার: মঙ্গলবার থেকে খোলা

এসএমএ আব্বাস ও সেরাজুল ইসলাম সিরাজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৩
পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার: মঙ্গলবার থেকে খোলা

ঢাকা: বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তাদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা বৈঠকের পর এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

 

বৈঠক শেষে জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “কমিশন বৃদ্ধি পেলেও দামের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না। কমিশনের এ খরচ বিপিসি তথা সরকার বহন করবে। ”   

এদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক জানিয়েছেন, কমিশন ডিজেল প্রতিলিটারে ১ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ৭০ পয়সা, অকটেন ২ টাকা ৯৯ পয়সা থেকে ৫১ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা ৫০, পেট্রোলে ২ টাকা ৮৭ পয়সা থেকে ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা, কোরোসিন ৭০ পয়সা থেকে ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৯০ পয়সা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “ট্যাংক লরির ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১১ শতাংশ। লিটার প্রতি ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা করা হয়েছে।

এছাড়া ৪০ কিলোমিটারের বেশি হলে অতিরিক্ত হিসেবে ২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ২২ পয়সা করা হয়েছে। ”
   
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টানা পৌনে ৪ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত।
   
বৈঠক শেষে নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পাম্প খুলে দেওয়া হবে। যে সব পাম্পে তেল রয়েছে, সেগুলো সকাল থেকে এবং যেগুলোতে তেল নেই, সেগুলোতে তেলের ব্যবস্থা করে দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হবে। ”  

উল্লেখ্য,বর্তমানে ডিজেলে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, পেট্রোলে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ ও অকটেনে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমিশন চেয়ে আসছিলেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা।
 
বৈঠকে সরকারের পক্ষে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, জ্বালানি বিভাগের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বিপিসির চেয়ারম্যন ইউনুসুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের পক্ষে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক, সদস্য সচিব হারুন উর রশীদ ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, রোববার থেকে ৯ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
 
৯ দফায় রয়েছে:
ধর্মঘট আহ্বানকারীদের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকার গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জ্বালানি তেল বিক্রিতে ডিজেলে ৩ দশমিক ৪ ভাগ, পেট্রোল ও অকটেনে ৪ ভাগ কমিশন নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন; ট্যাঙ্ক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি, এর চালকদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও কাগজপত্র নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন; ট্যাঙ্ক-লরিচালকদের প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে পাঁচ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা চালু; পেট্রোল পাম্প স্থাপনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক একতরফাভাবে প্রণীত নীতিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ, চট্টগ্রাম, ফতুল্লা, দৌলতপুর-খুলনা, চাঁদপুর ও সিলেটসহ যেসব স্থানে টার্মিনাল নেই, সেখানে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ ও গোদনাইলে পদ্মা ও মেঘনা টার্মিনাল সংস্কার; তেলের ভেজাল রোধ করা ও অবৈধ তেল বিক্রি বন্ধ; বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ ও শ্রমিক নেতা মীর মোকসেদ ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৩
এসএমএ, ইএস/সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।