ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

কার্যকর বৈদ্যুতিক পণ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৩

চট্টগ্রাম: কার্যকর ও দক্ষ পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে এসব পণ্য ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ রোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মত দেন তারা।



শনিবার চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘ট্রেনিং ওয়ার্কসপ অন পলিসি ডায়ালগ অ্যান্ড ম্যাস অ্যাওয়ারনেস অ্যাবাউট এনার্জি এফিসিয়েন্ট বিআরইএসএল প্রোডাক্টস ফর ম্যানুফ্যাকচার, ইমপোর্টারস, ট্রেডারস অ্যান্ড কনজুমারস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

ইউএনডিপি ও জিইএফ এর আঞ্চলিক প্রকল্প বিআরইএসএল বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডাইশেন অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন,‘বিআরইএসএল বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে যে ঘাটতি রয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থাৎ কার্যকর ও দক্ষ পণ্য ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এ ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে। ’

একই সঙ্গে  সঙ্গে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রীণ হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রেও প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।

বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস প্রধান মো. শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিআরইএসএল প্রকল্পের পরিচালক ও বিএসটিআই এর পরিচালক (পদার্থ) মো. আবদুল মতিন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান, ন্যাশনাল এক্সপার্ট (মটর) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বুয়েটের প্রফেসর ড. মো. জিয়াউর রহমান খান এবং ক্যাব চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি নাজের হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রকল্পটি সম্পর্কে জানানো হয়, এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে  বিএসটিআই হতে ‘এনার্জি স্টার লেভেল’ সনদপ্রাপ্ত পণ্য ব্যবহারে সচেতন করে তোলা। কেননা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিলের পরিমান কমে আসবে।

এজন্য বক্তারা আবাসিক, বানিজ্যিক ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ‘এনার্জি স্টার লেভেল’ সনদপ্রাপ্ত পণ্য ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা নিম্নমানের বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানী না করার আহবান জানান।

প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম যুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৩
এমবিএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।