ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন নভোথিয়েটারে!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৩
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন নভোথিয়েটারে!

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখতে বা এ সমন্ধে জানার জন্য এখন আর রাজধানী থেকে কষ্ট করে পাবনার ঈশ্বরদী যেতে হবে না।

নগরীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারেই এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।



মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রি ইনফরমেশন সেন্টার নামের এই তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। তথ্য কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করে রাশিয়ান ফেডারেশন।

তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হবে, যেন এ বিষয়ে কারো কোনো ভুল ধারণা না হয়। আমরা নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করতে চাই । সারা বিশ্ব এর দিকে ঝুঁকছে। এটি আমাদের ৫০ বছরের লালিত স্বপ্ন। স্বচ্ছতাই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বড় প্রাণ শক্তি।

তিনি বলেন, গ্রামে অনেকেই বিদ্যুৎ পায় না। আমরা পরমাণু প্রযুক্তি দিয়ে সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। রাশিয়া আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে। এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু লোক আছে তারা রূপপুর সমন্ধে ভুল ধারণা দিতে পারে। তাদের বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। অনেক সময় জ্ঞানের অজ্ঞতার কারণে আমরা তাদের কথা বিশ্বাস করে থাকি।

রাশিয়ার পরমাণু প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থার (রোসাতম) পরিচালক সার্গেই ভি কিরিয়েনকো বলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি পারমাণুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সস্তায় নিরাপদ বিদ্যুত পাওয়া সম্ভব। আমরা দীর্ঘদিন এই প্রকল্পে কাজ করবো।

বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় এই তথ্য কেন্দ্র স্থাপিত হয় বলে জানান তিনি।

এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জনসাধারণ ও গণমাধ্যম কর্মীদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বহুবিধ তথ্য সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মডেল ও ভিডিও প্রজেকশনের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া হবে এ তথ্য কেন্দ্র থেকে। ফলে মানুষ সহজেই এখান থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের সামগ্রিক কার্যক্রম ও এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তথ্য কেন্দ্রের সুবিধা: এই তথ্য কেন্দ্রে দু’টি হল আছে যা হল-১ ও হল-২ নামে পরিচিত।

হল-১ এ আছে একটি এলইডি টাচ স্ক্রিন মনিটর। এর মাধ্যমে বিশেষ শিক্ষামূলক তথ্যগুলো সচিত্র প্রদর্শিত হবে।

এছাড়া একটি প্ল্যাজমা টিভি এবং সঙ্গে একটি ডিভিডি প্লেয়ারও আছে যার মাধ্যমে বিশেষ শিক্ষামূলক ডিভিডি দেখানো হবে।

রয়েছে মিডিয়া ব্রিফিং এলাকা, যেখানে গণমাধ্যম কর্মীসহ সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।

হল-২ এ থাকছে ৬টি টেবিল। যেখানে ৩৬ জন দর্শনার্থী পরমাণুবিক শক্তি সংক্রান্ত ভিডিও ডকুমেন্টারি থেকে তথ্য জানতে পারবেন। এই তথ্য থেকে কুইজের ব্যবস্থা থাকবে। তিনটি পৃথক প্রজেকশনের মাধ্যমে ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখা যাবে। এই সিস্টেমের সঙ্গে কম্পিউটার গ্রাফিক্স, এ্যানিমেশন, স্টেরিও সাউন্ড ও ৬টি আন্তঃপারস্পরিক যোগাযোগ মনিটর সংযুক্ত আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৩
এমআইএস/আরআই/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।