ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর অপেক্ষার অবসান

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, শাহীন রহমান ও সেলিম সরদার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৩
রূপপুর অপেক্ষার অবসান

রূপপুর (পাবনা) থেকে: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হবে-হচ্ছে করেই কেটে গেছে দীর্ঘ ৫৩টি বছর। দু’দফায় খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নিরাশ হতে হয়েছে বাঙালিকে।

এবারও আশা নিরাশার দোলাচল ছিল। কিন্তু অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল।
 
বুধবার বেলা ১১টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, রাশিয়ান ফেডারেশনের দ্য স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাতম)  ডিজি সেরগেই ভি কিরিয়েংকো ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের কর্মকর্তারা।
 
স্বাভাবিক গতিতে প্রকল্পটির কাজ এগিয়ে নিতে পারলে ৫ বছরের মধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট ও পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ১ হাজারসহ মোট ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ১ টাকারও কমে।

এই প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগের ৯০ ভাগ বহন করবে রাশিয়া সরকার। আর ১০ ভাগ বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ।
 
পরিকল্পনাধীন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পাবনার ইশ্বরদী থানার রূপপুরে স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

১৯৬১ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। শুরুতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছিলো মাত্র দুইশ’ মেগাওয়াট। পরবর্তী সময়ে যা বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার মেগাওয়াট।
 
রূপপুরে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি।
 
মধ্যহ্নভোজ শেষে রূপপুর আণবিক প্রকল্প মাঠে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থল থেকে পাবনা জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তরও উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৩/আপডেট ১২০০ ঘণ্টা
ইএস/এসএটি/আরকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।