ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মহেশখালী হবে অত্যাধুনিক নগরী!

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪
মহেশখালী হবে অত্যাধুনিক নগরী!

ঢাকা: কক্সবাজার-মহেশখালী-সন্দীপ ঘিরে আধুনিক নগরী গড়তে চায় বাংলাদেশ। পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাইকাকে (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) মাস্টার প্ল্যান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।



ঢাকার মতো ঘিঞ্জি নগরী নয়, পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন ও পর্যটন নগরী গড়ে তোলা হবে। সেখানে আধুনিক জীবনের সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মাস্টার প্ল্যান তৈরির বিষয়ে বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে জাইকার প্রতিনিধির দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৈঠকে মাস্টার প্ল্যান তৈরির বিষয়ে জাইকা সম্মতি দিয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়।

তিনি জানান, প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে ৩ মাস, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস থেকে জাইকা মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করবে। আর প্ল্যান তৈরিতে কাজ শুরুর দিন থেকে ৬ মাসের মতো সময় লাগতে পারে।

মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে গিয়ে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিলম্বের কোনো সম্ভাবনা নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ অব্যাহত থাকবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে তৈরি হবে মাস্টার প্ল্যান।



তাপস কুমার রায় জানান, ঢাকা একসময় এরকম ছিলো না। ঠিক তেমনি মহেশখালী একসময় এই রকম থাকবে না। ঢাকার মতো যেন অপরিকল্পিত নগরী না হয় সে বিষয়ে এখন থেকেই সজাগ থাকা হবে। যে কারণে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

নগরায়নের মাস্টার প্ল্যানে কক্সবাজারকেও অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে তাপস কুমার রায়। সেখানকার পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বাধুনিক কোল টার্মিনাল হবে মহেশখালিতে। কয়লা খালাসে বন্দর নির্মাণ, এলএনজি টার্মিনাল, রেল যোগাযোগ, পাঁচ তারকা হোটেল ও টাউনশিপ গড়ে তোলা হবে।

মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হাব তৈরি করতে চায় সরকার। সেখানে থাকবে একাধিক মেগা পাওয়ার প্ল্যান। প্রথম ধাপেই থাকছে ১৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার প্লান্ট। এতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ দেবে জাইকা। ২০২২ সালে প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাইকা।

কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ চাইছে ২ বছর এগিয়ে অর্থাৎ ২০২০ সালেই বিদ্যুৎ পেতে। সেভাবে কাজ করার জন্য জাইকাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাপস কুমার রায়।

সূত্র জানায়,  চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আমদানি করা কয়লা দিয়ে চলবে। সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করেছে তাতে এইসব প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

সরকার কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জাইকা ছাড়াও চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা কয়লা দিয়ে উৎপাদন করা হবে। যার বড় অংশটি থাকছে এই অঞ্চলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।