ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গুড টাইম এসেছে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪
গুড টাইম এসেছে! ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

ঢাকা: বিদ্যুৎ খাতে গুড টাইম এসেছে জানিয়ে বেটার টাইমের জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
 
বুধবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে শিল্পে সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ী নেতাদের লোডশেডিং মুক্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি প্রসঙ্গে তিনি এ মন্ত্রব্য করেন।


 
উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনজনিত কারণে কোন লোডশেডিং নেই। চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু বিতরণ লাইনে সমস্যার কারণে কোন কোন এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
 
সরকার কাজ করে যাচ্ছে তাই কিছুটা সময় জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা যদি ২০০৮ সালের দিকে তাকান তাহলে বুঝতে পারবেন, দেশের বিদ্যুৎ খাত গুড পজিশনে রয়েছে।
 
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ চাহিদা কমে যাবে। সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার টাইম লাইন বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। যারা ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও বিধান করা উচিত।
 
শেখ হাসিনা সরকারের উপর বিনিয়োগকারিদের আস্থা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন একটি প্রকল্পে একটি দেশের একক বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মাতাবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডিজাইন শেষ হবে ২০১৬ সালের মধ্যে। আর শেষ হবে ২০২২ সালে।
 
মাতারবাড়িতে শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, একটি নৌ চ্যানেল থাকবে। ৭ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামোই তৈরি হবে। মহেষখালীকে ভবিষ্যতে একটি অত্যাধুনিক নগরী হিসেব গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চাই।
 
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে যুগ্ম সচিব সিদ্দিক জুবায়ের বলেন, দেশে লাইট জ্বালাতে এখন ১৭শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে। সাশ্রয়ী বাল্ব ব্যবহার করা হলে ১ হাজার ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম প্রয়োজন পড়বে। এ জন্য এলইডি বাল্ব ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
 
একইভাবে বৈদ্যুতিক ফ্যানে ১৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। পরিবর্তন করে সাশ্রয়ী সুপার স্টার ফ্যান লাগানো গেলে ৫২০ মেগাওয়াট, সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক মটর ব্যবহার করা হলে ৩৬০ মেগাওয়াট, ফ্রিজে ৭০ মেগাওয়াট  ও  সাশ্র্রয়ী এসি মেশিন ব্যবহার করা গেলে ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার কমবে।
 
তিনি দাবি করেন, আধুনিক সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলে ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে। তার তথ্যের উৎস এবং বিপুল সংখ্যক যন্ত্রপাতি পরিবর্তনে কত টাকা প্রয়োজন পড়বে বা বাস্তবায়ন সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সার্ভে করেই এই রিপোর্ট তৈরি করেছি।
 
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কেএমএইচ শহিদুল হক, স্টীল রি-রোলিং মিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।