ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি গঠিত

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি গঠিত ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানায় ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’ গঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে রেজিস্ট্রার অব জয়েন স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস’ এ নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।



নবগঠিত এ কোম্পানিটির প্রথম বোর্ড সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৫ অক্টোবর। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চীনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নতুন এ কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে।

এ কোম্পানির মালিকানায় নির্মিত হবে কয়লা ভিত্তিক পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মার্চে চীনের সঙ্গে কোম্পানি গঠন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এমওইউ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

প্রথম দফায় চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম। ৫ বছর পর পর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন হবে।

সমান সমান শেয়ারে গঠিত এ কোম্পানিতে মোট ৬ জন পরিচালকের মধ্যে বাংলাদেশের ৩ জন ও চীনা সরকারের মনোনীত ৩ জন পরিচালক থাকবেন।
বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

ইসিএ ঋণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। তবে এর পাশাপাশি চীন সরকারের কাছ থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

কোম্পানিটি গঠনে চীনের বেশ কয়েকটি ব্যাংক ঋণ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন এনডব্লিউপিজিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম।

কোম্পানি গঠনের পাশাপাশি পটুয়াখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে। স্টাডি করছে চীনা প্রতিষ্ঠান এফইডিআই। নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে এ স্টাডি। এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর শর্ত সাপেক্ষে ছাড়পত্র দিয়েছে। এটি সহজেই পূরণযোগ্য বলে মনে করছেন খোরশেদুল আলম।

পটুয়াখালীতে প্রস্তাবিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে চলবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
 
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মধুপুর এবং দেবপুর মৌজায় সরকারি খাসজমি রয়েছে। এখান থেকে অল্প কিছু মানুষকে পুনর্বাসন করলেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন খোরশেদুল আলম।

প্রস্তাবিত তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার খুব কাছে আন্ধারমানিক এবং রামনাবাদ নদীর মোহনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে। এখানে ৬৬০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। ২০১৮ সালের মধ্যেই প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।