সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা পরিত্যক্ত গ্যাসফিল্ডের আশপাশ দিয়ে গ্যাস বুদবুদ আকারে বের হচ্ছে।
গ্যাসফিল্ডের পাশের গ্রামের বিভিন্ন পুকুর, জমি, রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের ফাটল দিয়ে গ্যাস বুদবুদ আকারে বেরোচ্ছে এ গ্যাস।
টেংরা টিলা রক্ষা আন্দোর কমিটির সভাপতি আজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ ধরে টেংরাটিলা পরিত্যক্ত ফিল্ডের আশপাশ এলাকায় বুদবুদ আকারে গ্যাসের উদগীরণের মাত্রা বেড়েছে।
তিনি বলেন, টেংরা টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা ও জমির বিভিন্ন ফাটল দিয়ে গ্যাসের সঙ্গে কাঁদা মিশ্রিত পানি বের হচ্ছে।
![Sunamganj_Picture_1 Sunamganj_Picture_1](files/October_2014/October_30/Sunamganj_Picture_1_824313439.jpg)
বিষয়টি নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক জানান, লোকমুখে ঘটনাটি শুনে মঙ্গলবার বিকেলে টেংরাটিলা এলাকায় পরিদর্শ করেছেন। টেংরাটিলা পরিত্যক্ত গ্যাসক্ষেত্রের নিরাপত্তা বেস্টনির ভেতর অনেক জায়গার ফাটল দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে।
ইদ্রিছ আলী আরো জানান, টেংরাটিলায় নাইকো’র বা বাপেক্সে কেউ থাকেন না। কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী আছেন। বিষয়টি তিনি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন।
খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
![Sunamganj_Picture_2 Sunamganj_Picture_2](files/October_2014/October_30/Sunamganj_Picture_2_290100064.jpg)
২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দু’দফা বিস্ফোরণে গ্যাসফিল্ডের প্রোডাকশন কূপের রিগ ভেঙে প্রচণ্ড গর্জন এবং ভয়াবহ কম্পনসহ ২০০ থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত ওঠা-নামা করতে থাকে আগুন।
দুই দফা বিস্ফোরণে গ্যাসফিল্ডের মাটির ওপরে ৩ বিসিক গ্যাস পুড়ে যাওয়া এবং ৫.৮৯ থেকে কমপক্ষে ৫২ বিসিক গ্যাসের রিজার্ভ ধ্বংস হওয়াসহ আশপাশের টেংরাটিলা, আজবপুর, গিরিশনগর, কৈয়াজুরি ও শান্তিপুরের মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও পরিবেশের ক্ষতি হয়।
বিস্ফোরণের পর আশপাশের মানুষের সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে কিছুদিন পরই নাইকো তাদের সরঞ্জামাদি নিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৪