ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সারাদেশ বিদ্যুৎহীন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৪
সারাদেশ বিদ্যুৎহীন ছবি : নাজমুল হাসান /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সারাদেশ বিদ্যুৎহীন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকেই বিদ্যুৎ না থাকার খবর আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।



রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, মগবাজার, ইস্কাটন, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠকরা ফোন করে বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে চেয়েছেন। বিদ্যুত না থাকার খবর এসেছে বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও।

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৯টি ও চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭টি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে সারাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জিাতিক বিমানবন্দর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল চালু রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থায়।

ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ঢাকার কিছু অংশে এবং সন্ধ্যা নাগাদ সারাদেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের(কালশী রোডস্থ) সাংবাদিক আবাসিক এলাকার ৪ নং রোডের বাসিন্দা কাজী নূরজাহান বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেছে। এখনও(পৌনে ২টা) আসেনি। নানা সমস্যা হচ্ছে। একই কথা বলেন পূর্ব রামপুরার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রামেশ্বরগাঁতী গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক মো: নূর এ আলম সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার পরে সেই যে বিদ্যুত চলে গেছে, এখন সাড়ে ১২টা বাজে তাও আসেনি। কারণ টা জানতে পারছি না।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কলেজ শিক্ষিকা সীমা দত্ত জানান, আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেছে। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন ব্যাপারটা স্বাভাবিক তবে এখন জানতে পেরেছেন এটা জাতীয় গ্রিডের সমস্যা।

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের বাসিন্দা আবুল হাশেম বাংলানিউজকে জানান, তাদের এলাকাতেও সকাল থেকে বিদ্যুত নেই।

একই কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের জয়দেবপুর উত্তর ছায়াবিথী গ্রামের বাসিন্দা সানজিদা আলম।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ আলীও বিদ্যুত না থাকার বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।

বাংলানিউজের খুলনার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাহবুবুর রহমান মুন্না বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মার এ পারের ২১টি জেলাতেই বিদ্যুৎ নেই বলে জানতে পেরেছি। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস তেমন তথ্য দিতে পারছে না। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিপর্যয় কাটাতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে।

বাংলানিউজের সিলেটের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট নাসির উদ্দীন জানান, সিলেটের বেশিরভাগ এলাকায় ১১টা ২৯ মিনিটে বিদ্যুত চলে যায়। স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। এরইমধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জসহ কয়েকটি সাবস্টেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলানিউজ করেসপন্ডেন্টদের সূত্রে জানা গেছে, দেশের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। এরইমধ্যে ইন্টারনেট ব্যবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সারাদেশের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় গ্রিড বসে গেছে।   তাই সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কখন নাগাদ ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলা মুশকিল।

একইভাবে বাংলানিউজ থেকে বিষয়টিতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এ নিয়ে জরুরিভাবে কাজ চলছে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে এটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এরইমধ্যে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্বাভাবিক হয়েছে।

ভারত থেকে ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আসে সেই লাইনটি ট্রিপ হয়ে যাওয়ার প্রভাবে এ বিপর্যয় হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ইউনাইটেড পাওয়ার ঢাকা ইপিজেড, চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্নফুলী ইপিজেডে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেরেছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ইউনাইটেড গ্রুপের কর্মকর্তা ইফতেখারুল হক।

** বিদ্যুৎ বিভ্রাটে প্রতিমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
** সিলেটে বিপর্যয় কাটিয়ে সচল পিজিসিবির ৭ সাবস্টেশন
** ভোলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক!
** ময়মনসিংহ শহরে বিদ্যুৎ আছে, নেই উপজেলায়

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১,২০১৪/আপডেটেড- ১৩৫৫ ঘণ্টা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।