ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গ্যাসের হুইলিং চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪
গ্যাসের হুইলিং চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব

ঢাকা: গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি সঞ্চালন খরচ (হুইলিং চার্জ) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।

কোম্পানিটি এরই মধ্যে তাদের কমিশন বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবনা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জমা দিয়েছে বলে জানা যায়।



বিইআরসি সূত্র জানায়, গ্যাস সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের জন্য ৩২ পয়সা ভাড়া আদায় করছে। নতুন প্রস্তাবে প্রতি ঘনমিটারের ভাড়া ৪৭ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

জিটিসিএল তার প্রস্তাবনায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মূলধন সংকটের কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, হুইলিং চার্জ বাড়ানো হলে তারা মুনাফা করতে পারবে। আর তেমনটি হলে কোম্পানিটি অর্থায়ন করবে নতুন নতুন পাইপ লাইন নির্মাণে।

বিইআরসি চিঠি দিয়ে জিটিসিএল’র কাছে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট চেয়েছে। তবে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত জিটিসিএল তথ্য দেয় নি বলে জানা যায়।

বিইআরসি সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, জিটিসিএল’র তথ্য পাওয়া গেলে কমিশনের মিটিংয়ে বিষয়টি তোলা হবে। কমিশন যদি বিষয়টি
আমলে নেয় তাহলে গণশুনানির মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

শুধু গ্যাস সঞ্চালনের জন্য ১৯৯৩ সালে পেট্রোবাংলার সহযোগী কোম্পানি হিসেবে জিটিসিএল প্রতিষ্ঠা করা হয়। জিটিসিএল বর্তমানে গ্রিড পরিচালনা,
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে। সারাদেশে ১ হাজার ১২২ কিলোমিটার হাইপ্রেসার গ্যাস সঞ্চালন পাইপ রয়েছে। এই লাইন দিয়ে গ্যাস পরিবহন বাবদ প্রত্যেক বিতরণ কোম্পানিকে ৩২ পয়সা হারে ভাড়া দিতে হয়।

এছাড়া ১৯৩ কিলোমিটার রয়েছে কনডেনসেট সঞ্চালন পাইপ। সেখানেও একই হারে কমিশন পেয়ে আসছে রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।

অন্যদিকে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা রয়েছে। বিইআরসি থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টসহ বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট জমা দেয় নি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।

এই তিনটি কোম্পানির তথ্য পাওয়া গেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চায় বিইআরসি। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে গিয়ে দাম বাড়ানো বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জানায় বিইআরসি সূত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।