ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ভারতের খোলা বাজার থেকে আসবে বিদ্যুৎ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
ভারতের খোলা বাজার থেকে আসবে বিদ্যুৎ

ঢাকা: ভারতের খোলা বাজার থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে প্রতি ইউনিটের মূল্য পড়বে প্রায় ৪ দশমিক ৭৪ টাকা।



বুধবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

যুগ্ম সচিব জানান, ভারতের এনএনবিএ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ কেনা হবে। এ জন্য কোম্পানিটিকে ইউনিট প্রতি দশমিক ০৪৯৬৩ টাকা চার্জ পরিশোধ করতে হবে। ভারতে বিদ্যুৎ বেচা-কেনার খোলা মার্কেট রয়েছে (শেয়ার মার্কেটের মতো) যেখানে খোলা বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। প্রতি ১৫ মিনিট পরপর দর পরিবর্তিত হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবে, দৈনিক সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতে ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক বছরে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ সর্বোচ্চ ২ শ’ ৩১ কোটি টাকা প্রয়োজন পড়বে।

ডে অ্যাহেড সিডিউলের ভিত্তিতে ৩০/৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিডের মাধ্যমে ক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয়।

২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা হয়। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট থেকে ভারতের বহরমপুর থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রে ৫ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া, ত্রিপুরা থেকে চলতি বছরে সরকারিভাবে আরও এক শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টে ডুয়েল ফুয়েল সিসটেম সংযোগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

এদিন ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ২ হাজার ৮৩১টি ল্যাপটপ ও ২ হাজার ৮৩১ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

এছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ড্রেজার, ক্রেনবোর্ড, টাগবোর্ড, অফিসার্স হাইজবোর্ড ও ক্রু-হাউজবোর্ডের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মহেশখালীতে দৈনিক ৫ শ’ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এলএনজি (তরলিকৃত প্রকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল স্থাপনের অনুস্বাক্ষরিত খসড়া টার্মসিট চুক্তি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫, আপডেট ১৯০৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।