ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সাড়া নেই পেট্রোল রপ্তানির দরপত্রে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৫
সাড়া নেই পেট্রোল রপ্তানির দরপত্রে ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশ পেটোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) পেট্রোল-অকটেন রপ্তানি করতে চায়। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে।



সোমবার (৩ আগস্ট) ছিল দরপত্র জমাদানের শেষ দিন। কিন্তু মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে বলে বিপিসি সূত্র জানিয়েছে। ১৫ হাজার পেট্রোল-অকটেন রপ্তানির জন্য জুলাই মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

বিপিসি সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রক্রিয়া এবারেই প্রথম। তাই অভিজ্ঞতাও কম। আর অল্প সময়ে রপ্তানি প্রক্রিয়া চালু করায় প্রচার কম হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও অপরিশোধিত জ্বালানির দাম পড়তির দিকে। তাই হয়তো দরপত্র কম জমা পড়েছে।

গত সপ্তাহে ৫০ ডলারেরও নীচে অপরিশোধিত তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে। ইতোমধ্যে ইরান তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে- এ বাস্তবতায় হয়তো এখনই ব্যবসায়ীরা এগুতে চাচ্ছে না বলে মনে করছে বিপিসি।
   
বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদোজ্জা জানান, শেষ দিনে দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ণ করে এরমধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতাকে টেন্ডার দেওয়া হবে।

ভবিষ্যতে চাহিদা ও পেট্রোবাংলার নির্দেশনা অনুযায়ী পেট্রোল ও অকটেন বিক্রির জন্য আরও দরপত্র আহ্বান করা হবে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই লাখ মেট্রিকটন পেট্রোল ও অকটেন রপ্তানির সক্ষমতা আছে বলেও জানান তিনি।
 
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, দেশের বেশকিছু গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে যেগুলোতে বৈশিষ্ট্যগতভাবেই বেশি পরিমাণ লিক্যুইড কম্পোনেন্ট বা কনডেনসেট পাওয়া যায়। গ্যাসের উৎপাদন বাড়ায় এ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন কনডেনসেট উৎপাদিত হবে।

এই কনডেনসেট পরিশোধন করে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোল ও অকটেন পাওয়া যাবে। আর অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা ৩ লাখ মেট্রিকটন। সেক্ষেত্রে ২ লাখ টন পেট্রোল ও অকটেন রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছে বিপিসি।
 
দেশে বর্তমানে ১৪টি সরকারি ও বেসরকারি প্ল্যান্ট কনডেনসেট পরিশোধন করে পেট্রোল ও অকটেন বিপিসির কাছে বিক্রি করে। ধারণ ক্ষমতা না থাকায় বিপুল পরিমাণ কনডেনসেট পুড়িয়ে ফেলতে হয়। ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে কনডেনসেট পরিশোধন করে আরও পেট্রোল উৎপাদন সম্ভব।
 
সরকারি চারটি পরিশোধন কেন্দ্র এসজিএফএল, বিজিএফসিএল, আরপিজিসিএল ও ইআরএল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন কনডেনসেট পরিশোধনের করতে পারে। কিন্তু এরচেয়ে কম পরিশোধন করে। অন্যদিকে ১০টি বেসরকারি কোম্পানির ক্ষমতা রয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন। তবে তারা এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধন করেছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৫
এসআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।