ঢাকা, রবিবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

‘৫০ শতাংশ গ্যাস সংকট দূর হবে আগামী বছর’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
‘৫০ শতাংশ গ্যাস সংকট দূর হবে আগামী বছর’

ঢাকা: আগামী বছর দেশের গ্যাংস সংকটের ৫০ শতাংশ দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এনার্জি সিকিউরিটি-২০৩০: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
 
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগামী বছর দেশের গ্যাস সংকট ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে।

এ জন্য বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে ১ কোটি ঘনফুট জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হবে।
 
তিনি বলেন, ৫০ শতাংশের মধ্যে প্রথমার্ধে ২০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা হবে। পরবর্তী ছয় মাসে বাকি অংশটুকু প‍ূরণ করা হবে। এতে গ্যাসের দাম বেশি হতে পারে। তবে গ্যাসের দাম সহজ ও সহনীয় করতে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আপনার‍া তার যৌক্তিক মূল্যের প্রস্তাব করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
 
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিদুৎ ও জালানির পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। কিন্তু মাঝখানে তিন-চার বছর বড় ধরনের কয়লা ভিত্তিক প্রকল্পগুলোর গ্যাপের কারণে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ পিছিয়ে পড়ছে। দ্রুত এ গ্যাপ পূরণের জন্য ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট তেল ভিক্তিক বিদ্যু‍ৎ উৎপাদনের কাজ চলছে।
 
তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য ও গুনগত মানের বিদ্যুৎ সরবহারের জন্য ৪০ লাখের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি সিস্টেম লস ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশের নিচে আনার চেষ্টা চলছে।
 
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ছোট আয়তনের, বড় জনসংখ্যা দেশের নাম বাংলাদেশ। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রথমে প্রয়োজন ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদুৎ সংযোগ। এগুলোর জন্য সরকার কাজ করছে।
 
দেশের বিনিয়োগ বাড়াতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদ্যুতের অপচয় এবং সোলার সিস্টেম ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন কারখান স্থাপন এবং সোলার সিস্টেম ছাড়া নতুন করে আবাসন তৈরি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
 
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. ফাওজুল কবির খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআইএয়ের প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম।
 
ডিসিসিআই অয়োজিত সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের (পিআরই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মানসুর, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইব্যুনালের এন‍ার্জি ল-অ্যান্ড পলিসি এক্সপার্টের চেয়ারম্যান ড. সেলিম মাহমুদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
 
এ ছাড়াও মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন  ড. মোহাম্মদ তামিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এমএফআই/বিএস/এসএইচ

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।