ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘একাডেমিক লামানোসভে’

ঢাকা: বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘একাডেমিক লামানোসভে’ জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে শনিবার (১৯ মে) উত্তরাঞ্চলের শহর মুরমানস্কে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ মে) রাশিয়ার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রসাটম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘একাডেমিক লামানোসভ’ জ্বালানি লোড করার পর বিদ্যুৎ গ্রিডে সংযুক্ত করার জন্য ভাসমান এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাশিয়ার চুকুতকা অঞ্চলের পিভেক শহরে নিয়ে যাওয়া হবে।

ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রতিটি ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি কেএলটি-৪০সি ( KLT-40C) পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। ভাসমান কেন্দ্রটি লম্বায় ১৪৪ মিটার এবং প্রস্থে ৩০ মিটার।  

পিভেক অঞ্চলে বর্তমানে ৫০ হাজার মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পুরনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থলাভিষিক্ত হবে এ ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘একাডেমিক লামানোসভ’ মুরমানস্কে আগমন উপলক্ষে এটমফ্লোটের (রুশ পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রসাটমের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) জেটিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ, চুকুতকা অঞ্চলের গর্ভনর রোমান কপিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘একাডেমিক লামানোসভ’ ২০১৯ সালে জাতীয় বিদ্যুৎ যুক্ত করতে পারবে। এর আয়ুকাল ৪০ বছর, তবে ৫০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এ জাতীয় মাঝারি আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জ্বালানি লোডের পর এক নাগারে ৩ থেকে ৫ বছর কাজ করতে সক্ষম।  

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ডিকমিশনিং ও রিসাইকেল করার জন্য রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও স্পেন্ট ফুয়েল রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত বিশেষ সংরক্ষণাগারে রাখা হবে।  

এরই মধ্যে দ্বিতীয় প্রজন্মের ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে রসাটম কাজ করছে বলেও ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
পিআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।