ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম সহনীয় রাখার ব্যবস্থা করবো: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম সহনীয় রাখার ব্যবস্থা করবো: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সবার জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে একটি অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। গত ছয় মাস আগেও এমন অস্থিরতা ছিল না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে একটি অস্থিরতা বিরাজ করছে। পত্রিকায় দেখলাম ইউক্রেন তাদের ফেলে রাখা কয়লার পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আবার চালু করার জন্য স্ট্যান্ডবাই রেখেছে। ইতোমধ্যে জার্মানিতে ৪০ শতাংশ গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, তাতে সারাবিশ্বের সমস্ত দেশ নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি দিতে পারেনি। এই ঊর্ধ্বমুখীর কারণে বিশ্বে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ফলে প্রতিটি দেশেই জ্বালানি তেলের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। যার কারণে আমরাও বাধ্য হয়েছি, জ্বালানি তেলের বিশেষ করে যেটা আমরা আমদানি করি, তার মূল্য সমন্বয় করতে। এই মূল্য সমন্বয় খুবই সাময়িক। আমরা মনে করি, বিশ্বে তেলের মূল্য আবার যদি নিম্নমুখী হয়, অবশ্যই আমরা আবার সমন্বয় করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এই সভা থেকে সবাইকে বলবো, জাতির পিতা অত্যন্ত মেধা এবং দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচনার যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তার প্রতি আস্থা রেখে, আমরা সকলেই একটু ধৈর্য ধারণ করি। আমাদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত ভালো। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেল হয়েছিল এবং তার থেকে আমরা কিন্তু পিছিয়ে পড়ি নাই। এই সাময়িক যুদ্ধের কারণে, যে পরিমাণ ধৈর্য ধারণ আমাদের করতে হবে, সমস্ত দেশ কিন্তু তাই করছে। তারা অপেক্ষা করছে কবে নাগাদ এই মন্দাভাব থেকে বেরিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমরা সকলে আশাবাদী, ওনার নেতৃত্বে এই অবস্থা থেকে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবোই ইনশাল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আমরা নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি, আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। যার ফলশ্রুতিতে সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের জন্য আমরা প্রচুর পরিকল্পনা করেছি, দিনে দিনে তার বাস্তবায়ন চলছে। আশা রাখছি এই বছরের শেষ নাগাদ আমরা একটি ভালো অবস্থায় যেতে পারবো। আশা করছি, সকলের সহনীয় পর্যায়ে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎকে যেন রাখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই ব্যবস্থাই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করবো।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।