ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বুধবার সকালে বসছে রূপপুর এনপিপির দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
বুধবার সকালে বসছে রূপপুর এনপিপির দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর

ঢাকা: নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লিপাত্র) স্থাপন করা হচ্ছে আগামী বুধবার (১৯ অক্টোবর)। এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ৷

সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল স্থাপনের উদ্বোধন করবেন।

কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে এ প্রকল্পের নির্মাণ সংস্থা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ উপস্থিত থাকবেন।

এ রিঅ্যাক্টর স্থাপনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। রিঅ্যাক্টর স্থাপন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ৷ রিঅ্যাক্টর স্থাপন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মাইলফলক অগ্রগতি কারণ রিঅ্যাক্টর ভেসেলকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হার্ট বা হৃদপিণ্ড বলা হয়।

এ বিষয়েে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রিঅ্যাক্টর স্থাপন উদ্বোধন করবেন৷ দ্বিতীয় ইউনিটের এ রিঅ্যাক্টর স্থাপনের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত বছর প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপন হয়েছে। এ প্রকল্পের সব কাজই সিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি নির্ধারিত সময়েই আমরা দেশের এ প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে পারবো। রিঅ্যাক্টর স্থাপন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নে রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক ও প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সার্বিক সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে এ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে স্থাপন করা হচ্ছে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বশেষ প্রযুক্তি থ্রিজি (প্লাস) ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রিঅ্যাক্টর। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে৷ প্রতিটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এ প্রকল্পে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির স্থায়িত্ব হবে ৬০ বছর। এরপর দুই ধাপে ২০ বছর করে বাড়িয়ে মোট ১০০ বছর উৎপাদনে থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।