ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশ থেকে প্রায় ৮৩ হাজার কর্মী নেবে ইতালি

সাইফুল ইসলাম, ইতালি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশ থেকে প্রায় ৮৩ হাজার কর্মী নেবে ইতালি

বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশ থেকে সিজনাল ও নন-সিজনাল ভিসায় প্রায় ৮৩ হাজার কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ ইতালি। সম্প্রতি দেশটির মন্ত্রীপরিষদের একটি আলোচনা সভায় এ বিষয়ে সই হওয়া এক স্মারকের বরাত দিয়ে দেশটির মন্ত্রীপরিষদের সচিব ‘আলফ্রেদো মানতোভানো’ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানার জন্য চূড়ান্ত খসড়া বা গেজেট বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।  

জানা গেছে, মহামারি করোনার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব রয়েছে। সেইসাথে ভূমধ্যসাগরসহ অন্যান্য অবৈধ পথে ইতালিতে প্রবেশ বন্ধ করতে এ বছর ৮২ হাজার ৭০৫ জন নন-ইউরোপিয়ান নাগরিককে বৈধপথে দেশটিতে প্রবেশ করে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।

এরমধ্যে অস্থায়ী বা সিজনাল ভিসায় দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে ৪৪ হাজার এবং স্থায়ী বা নন-সিজনাল ভিসায় দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে ৩৮ হাজার ৭০৫ জন নন-ইউরোপিয়ান নাগরিক। তবে স্থায়ী বা নন-সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশ থেকে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ১০৫ জন দেশটিতে বৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।  

সাধারণত কৃষিখাতে সবচেয়ে বেশি কর্মী প্রবেশের সুযোগ পাবে। এছাড়া থাকবে ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্সধারী, সিজনাল আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, মেটাল মেকানিক্স, খাদ্য-দ্রব্য ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পখাতে প্রবেশের সুযোগ। তবে বাংলাদেশের সাথে ইতালির ড্রাইভিং লাইসেন্স চুক্তি না থাকায় এই সেক্টরে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে আবেদনের সুযোগ থাকবে না। তবে যদি কোন বাংলাদেশির অন্য কোনো দেশের ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স থাকে এবং সেই দেশের লাইসেন্স যদি ইতালিতে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে এই সেক্টরে আবেদনের সুযোগ থাকবে।

এ বছরের আবেদন প্রক্রিয়া বিগত বছরগুলোর তুলনায় একটু ব্যতিক্রম হবে বলে জানিয়েছেন আলফ্রেদো। এবছর স্থানীয় সরকার লোকাল বা অভ্যন্তরীণ মার্কেটের দিকে বেশি গুরুত্ব দেবে বলে জানা গেছে। প্রথমাবস্থায় সরাসরি অন্যদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আবেদন না করে প্রথমে দেশটিতে থাকা বৈধ কোনো কর্মী খুঁজতে হবে। এজন্য ওই মালিককে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘centro per l’impiego’ (যেখানে ইতালির সকল কর্মীদের তথ্য সংরক্ষণ করা থাকে)তে আবেদন করতে হবে। যদি ‘centro per l’impiego’ মালিকের চাহিদানুযায়ী কর্মী দিতে ব্যর্থ হয়, তখনই কেবল ওই মালিক বিদেশ থেকে কর্মী পেতে আবেদন করতে পারবেন।  

এ বিষয়ে দেশটিতে থাকা অভিবাসন বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, যদিও এবারের আবেদন প্রক্রিয়া একটু ক্রিটিকাল মনে হচ্ছে, কিন্তু এর ভবিষ্যৎ ভালো হবে বলে আশা করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় দালালের দৌরাত্ম্য কমে আসবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।