ঢাকা: গত সোমবার ৪ই জুন জাতিসংঘে ইকোসক ও পিস বিল্ডিং কমিশনের যৌথ উদ্যোগে কিভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে যুবকদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করা যায়, এব্যাপারে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার পিএমবিডিইউএনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সভা পরিচালনা করেন পিস বিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি যুদ্ধের পরবর্তী অবস্থা থেকে সংঘর্ষ এড়িয়ে কিভাবে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়া যায় তার উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সহস্রাব্দের লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য অবশ্যই সে সমস্ত দেশে চাকরির সুযোগ সুবিধা তৈরি করতে হবে, বিশেষ করে যুবকদের জন্য।
তিনি বলেন, আসন্ন রিও+২০ সম্মেলনে চাকুরির সুযোগ তৈরি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, পরিবেশ উন্নয়ন এবং পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
ড. মোমেন আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়নের “পিপলস্ এমপাওয়ারমেন্ট” বা জনগণের ক্ষমতায়নের উপর সমূহ জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি লক্ষ্যের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষা এবং ট্রেনিংয়ের মাধ্যমেই চাকরিরর সুযোগ সৃষ্টি করে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনয়ন সম্ভব।
সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যতম এন.জি.ও বাংলাদেশের ব্র্যাকের মোঃ আব্দুস সালাম মনরভিয়া থেকে বলেন, ব্র্যাকের উদ্যোগে লাইবেরিয়াতে ৯ লাখ ৬০০ জন লোকের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইবেরিয়া ছাড়াও পৃথিবীর যে কোনো দেশেই যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ব্র্যাকের মডেল গ্রহণ করে কর্ম ব্যবস্থাপনা তৈরি করা যায়।
উক্ত সভায় জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. আশা মিগেরো এবং ইকোসকের চেয়ারম্যান স্লাভাকিয়ার মন্ত্রী মিলোস কোটেরেক যুব সমাজের জন্য অধিকতর কর্মসংস্থানের উপর জোর দেন এবং বলেন মধ্যপ্রাচ্যে “আরব স্প্রিং” এ বিষয়ে অধিকতর দৃষ্টি দেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১২
নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর