ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

বিদেশিকর্মীদের জন্য কাতারের শ্রম আইনে সংশোধন

আনোয়ার হোসেন মামুন, কাতার থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
বিদেশিকর্মীদের জন্য কাতারের শ্রম আইনে সংশোধন

কাতার: বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত নিজেদের শ্রম আইনে বড় ধরনের সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে কাতার সরকার। এ পরিবর্তন শুধু বিদেশি কর্মীদের বেতনভাতা বিষয়েই।



নতুন আইনে বলা হয়েছে, বিদেশিকর্মীদের প্রত্যেকের বেতন দিতে হবে ব্যাংকের মাধ্যমে। নিয়োগকর্তাদের যারা এ নিয়ম মানতে ব্যর্থ হবেন, জেল-জরিমানা হবে তাদের। আর তা হবে- এক মাসের জেল বা ৬ হাজার স্থানীয় কাতারি রিয়াল জরিমানা।

২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। দেশটিতে চলছে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ।

২০১৩ সালে কাতারে বিদেশি কর্মীদের জীবনধারা নিয়ে প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বলা হয়েছিল, দেশটিতে নির্বিচারে শ্রমশোষণ চলে। আধুনিক দাস হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছিল বিদেশিকর্মীদের।

মূলত এরপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তোপের মুখে কাতার সরকার। ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফাও নড়েচড়ে বসে।

শ্রম আইনে সংশোধনের মূল কারণ মনে করা হচ্ছে ফিফার মন রক্ষা করা। সামনের সপ্তাহে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা আসছে কাতারে, উদ্দেশ্য টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ ঠিক করা।

তাই, আগেভাগেই বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরকারের পক্ষ থেকে এল শ্রম আইনে সংশোধনের ঘোষণা।

সংস্কারের সিদ্ধান্তে এরইমধ্যে দেশের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সম্মতি দিয়েছেন।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, কর্মীদের অন্তত প্রতিমাসে, বিশেষ ক্ষেত্রে ১৫ দিনে একবার করে বেতন পরিশোধ করতে হবে।

কবে থেকে নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ সংস্কারকে স্বাগত জানালেও বিতর্কিত 'কাফালা' পদ্ধতি বাতিল না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে।

বিভিন্ন মহল থেকে এই পদ্ধতিকে আধুনিক দাসত্ব বলে মন্তব্য করে এটি বাতিলের দাবি করা হচ্ছিল।

কাফালার কারণে একজন বিদেশি কর্মীর কর্মস্থল পরিবর্তন কিংবা কাতার ছেড়ে যাবার সুযোগ নিয়ন্ত্রণ করে তার নিয়োগকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।