ঢাকা: ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের ঐতিহ্যবাহী ‘বাইনিনসকুলটরেন‘ হলে এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নবপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
এতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ৪০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, কূটনীতিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতায় স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি এসময় ডেনমার্কে বাংলাদেশের দূতাবাস খোলার উদ্দেশ্যের কথা জানান। একইসঙ্গে ড্যানিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, ওষুধ শিল্প, সিরামিক, আইটিসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য প্রসারের আহবান জানান। রাষ্ট্রদূত ড্যানিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনোয়োগেরও আহবান জানান।
আব্দুল মুহিত বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের অপার সম্ভাবনা বিবেচনায় এখানে বিনিয়োগের মাধ্যমে ড্যানিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হতে পারে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের হাতে বাংলাদেশে তৈরি এবং ডেনমার্কে বাজারজাতকৃত বাইসাইকেল ‘বি-ফেয়ার’ উপহার হিসেবে তুলে দেন এশিয়া-নরডিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরা।
সন্ধ্যায় দূতাবাসের তরফ থেকে অতিথিদের মাঝে মুখরোচক দেশি খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর অতিথিদের হাতে বাংলাদেশে তৈরি পাটের ব্যাগে বাংলাদেশি চা পাতা উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ কর্ণারে দেশজ হস্তশিল্প, মসলিন, জামদানি, সিরামিক, জুয়েলারিসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হয়।
২৬ মার্চ সকালে দূতাবাসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৬
এইচএ/