বার্লিন (জার্মানি) থেকে: স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে জার্মানিতে এলেন সাতক্ষীরার শাওন দেবনাথ। পেশায় পুরোদস্তুর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।
শাওনের সাথে পরিচয় আবুধাবী থেকে বার্লিনগামী এয়ার বার্লিনে। চোখে মুখে দৃঢ় ত্যয়। অচেনা দেশ বলে নেই কোন বাড়তি ভয় বা সংশয়।
কিন্তু স্বদেশে থাকা পরিবার-পরিজন, মোটা অংকের মাইনের চাকরি ছেড়ে শাওন কেন বিদেশে পাড়ি জমালেন?
‘আসলে একই কাজ এতোদিন ধরে করছি, আর ভালো লাগছিলো না। মনে হচ্ছিলো- নতুন নতুন আরো কিছু করা দরকার। তাই চলে এলাম’- উত্তরটা ঠোঁঠের কিনারে যেন প্রস্তুতই করেই রেখেছিলে বাংলাদেশের এই তরুণ।
বাবা সত্যরঞ্জন দেবনাথ চাকরি করতেন পিডিবিতে, আর মা মঞ্জুরানী নাথ গৃহিনী। দুই ভাই বোনের মধ্যে শাওনই বড়।
দেশের বাড়ি সাতক্ষীরায় হলেও বাবার চাকরির সুবাদে শাওনের পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা বরিশালে। বরিশাল জেলা স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন হাতেম আলী কলেজে। ইচ্ছা ছিলো বুয়েট, চুয়েট বা কুয়েটে পড়ার। চান্স হয়নি। তাই পড়তে যান কলকাতার টেকনো ইন্ডিয়া কলেজে। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
শাওন মূলত কম্পিউটার গেম তৈরি করেন। আগে করতেন ওয়েব ডেভেলপের কাজ। এবার ইচ্ছা মুঠোফোনে গেম তৈরি। আর সেই লক্ষ্যেই ছুটে আসা এই ভিনদেশে। তাহলে এতো দেশ থাকতে জার্মানি কেন?
আসলে জার্মানীতে পড়াশোনা করতে তেমন কোন ব্যয় হয় না। আমি যেখানে ভর্তি হচ্ছি সেখানে কোন টিউশন ফি নেই। খালি হোস্টেল খরচ। আসলে আমি যেটা নিয়ে কাজ করি, সেটার সম্ভাবনা অনেক। সম্প্রতি আমার একটি কাজ বিশেষ একটি ক্যাটাগরিতে টপ থ্রিতে চলে আসায় প্রত্যয়টা বেড়ে গেলো। মনে হলো নিজেকে আরো শানিত করা দরকার।
শাওন একাই নন, জার্মাননির ডুসেলড্রফ থেকে বন সবর্ত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষা শেষে পাড়ি জমাচ্ছেন ব্রিটেনসহ আরো উন্নত দেশে। কেউবা শিক্ষা শেষে দেশে ফিরেই নিজেই নিজেকে পরিণত করেছেন উদ্যোক্ত হিসেবে।
আর তাদের একটাই কথা। এখানে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পড়াশোনার খরচ অনেক কম। আর মানও অনেক ভালো। সে হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি।
মাত্র দুজনেই বদলে দিচ্ছেন চিরচেনা শাহজালাল!
এবার ইউরোপ সফরে বাংলানিউজের জাহিদ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
জেডএম/