বার্লিন: জার্মানির বার্লিন শহর। শান্ত ছিমছাম।
শহরে রিফুয়েলিং স্টেশনে আপনার চোখ ডলতে হবে। ভুল দেখছি না তো, এই ভেবে! পোশাকে আশাকে স্যুটেড বুটেড কেউ যদি গাড়িতে তেল দেয় তো সদ্য আসা বাংলাদেশি হিসেবে চোখ কপালেই ওঠার কথা!
আরও যদি দেখেন পরিচিতি কোনো বিলিনিয়র নিজেই গাড়ির জ্বালানি ট্যাংকারে নজেল ঢুকিয়ে তেল দিচ্ছেন তবে তাকে রিফুয়েলিং স্টেশনের (পেট্রোলপাম্প) কর্মচারী ভেবে ভুল না করাই ভালো।
দেখা গেলো একটি বিএমডাব্লিও মডেলের ব্যক্তিগত গাড়ি রিফুয়েলিং স্টেশনে ঢুকলো। চালকের আসনে বসা গাড়িটির মালিক নিজেই খুললেন তার জ্বালানি গ্রহণের ছিপি। তারপর মেশিন চালু করে নিলেন পরিমাণ মতো জ্বালানি।
আসলে আমাদের দেশে সিএনজি বা রিফুয়েলিং স্টেশনে গিয়ে যেমনটা দেখা যায়, চালক অর্ডার করেন। আর পাম্পের কর্মচারীরা তেল বা গ্যাস ভরে দেন। এখানে তেমনটি কল্পনাও করা যায় না।
নিজেই গাড়িটি অকটেন বা পেট্রোলের ডিসপন্সারের কাছে নিতে হবে। গাড়ি থেকে নেমে নিজেই পরিমাণ তো জ্বালানি ভরে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
তাই যারা জগ থেকেও জল ঢেলে খেতে অন্যদের মুখের দিকে তাকান মোটা দাগে তাদের প্রবাসে না আসাই ভালো। কারণ এখানে বলতে গেলে নিজের কাজগুলো নিজেকেই করতে হয়। বাসা বাড়ির কাজগুলোও তাই। আর ব্যয়বহুল শহরে স্ত্রী বা কর্মক্ষম মানুষ বসে বসে খাবে সেটা হবে না এখানে।
কর্মের সন্ধানে ঠিকই বের হতে হবে। প্রবাসে যারা সফল তাদের বাহ্যিক বেশভূষা দেখলে একটু ঈর্ষা হতেই পারে। আসলে কোনো কাজকেই ছোট মনে না করে নিজের করাটাকেই শিক্ষা দেয় এ রীতি।
বাংলাদেশে যদি এই ব্যবস্থা চালু হতো তবে গাড়ির মালিকরা অন্তত পেট্রোলপাম্পের কর্মচারী বা রিকশাচালক নিদেনপক্ষে সাধারণ মানুষের প্রতি আরও সংবেদশীল হতো– এমনটাই বলছিলেন জ্বালানি নিতে আসা প্রবাসী মোস্তাক খান।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, আমরা প্রবাসীরা এসব কাজে অভ্যস্ত। আসলে উন্নত দেশগুলো কেবল সম্পদেই নয়। উন্নত হয় মানসিকতাতেও। এসব রীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শেখায় মানুষে মানুষে কোনো ব্যবধান নেই। সবাই মানুষ। সবাই সমান।
**সততা-একাগ্রতাই এগিয়ে নিয়েছে কাজী সুরুজকে
**‘সেই সংগ্রামই সাফল্যের পথপ্রদর্শক’
** আস্থার সংকটে বাংলাদেশ–জার্মানি সম্পর্ক!
** বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হাসি
** নিজেই মুমূর্ষু জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৬
এএ