এথেন্স, গ্রিস থেকে: ‘কাজ-কাম নেই। বসি আছি’! হতাশা আর আক্ষেপ নিয়েই সমস্বরে কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুরের শাহ অালম।
তারা সবাই কিফিসিয়া মেট্রোরেলের শেষ স্টেশনে ফুটপাতে হকার হিসেবে কাজ করেন। এই স্টেশন থেকে নেমেই পেরিয়াসবন্দর। যেখান থেকে বিশাল-বিশাল জাহাজ ছেড়ে যায় দূরবর্তী বিভিন্ন দ্বীপের উদ্দেশে। যাদের বেশির ভাগই বিদেশি পর্যটক। তাদের এই আনন্দ ভ্রমণে নিত্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি ব্যবহার্য জিনিসপত্রের পশরা সাজিয়েই বসেছেন এখানকার বাংলাদেশি হকাররা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, কেউ ভালো নেই। অনেকটা পেটে-ভাতে বেঁচে থাকার মতোই জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা।
এদের কেউ বিক্রি করেন রোদ চশমা (সান গ্লাস), কেউবা মোবাইল ফোনের চার্জারসহ নানা কিছু। ট্রেন আসা যাওয়ার সময়টুকুর অপেক্ষাতেই প্রহরগুনতে হয় তাদের।
স্টেশনে ট্রেন আসার আওয়াজ পেতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। যদি সামান্য কিছু হলেও বিক্রি করা যায় এই আশায়!
তবে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই বোঝা গেলো এসব ব্যবসায়ীদের হতাশার বিষয়টা। শেষ গন্তব্য ঘিরে এমনিতেই যাত্রী কম, তার ওপর কেউ কিছু বিক্রি করতে না পারার মানেটাই হতাশার।
চাঁদপুরের শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, বেচাকেনা নেই। বাসায় বসে থেকে কী করবো। এখানে চলে আসি। এখানে আমাদের কারোই নেই দোকান বসিয়ে ব্যবসা করার অনুমতি। আবার না অাছে এ দেশে থাকার বৈধতা।
বাধ্য হয়েই তাই স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে চলে এদের ইঁদুর-বিড়াল খেলা। ধরা পড়লে জরিমানাসহ পদে পদে বিড়ম্বনা।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, গ্রিসের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ার গুরুতর প্রভাব পড়েছে তাদের জীবনে। এতে করে তাদের (প্রবাসীদের) আশায় চেয়ে থাকা দেশের মানুষদের জন্যই বা কতটুকু অর্থ পাঠানো সম্ভব?
উত্তরটা যেন কেবলই ফ্যালফ্যাল করে অপলক নয়নে চেয়ে থাকা। যে মুখচ্ছবি বলে দেয় হাজারও কষ্ট আর বেদনার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
আইএ
** বিদেশি সতীনেও কষ্ট নেই, আছে সুখ!
** ডিশ ওয়াশার থেকে ২ রেস্টুরেন্টের মালিক আকুল মিয়া
**জার্মানিতে বিয়ে বা দত্তক- এতে যায় কষ্টের বহু অর্থ
**পেট্রোলপাম্পেও নিজের কাজ নিজে করো নীতি
**সততা-একাগ্রতাই এগিয়ে নিয়েছে কাজী সুরুজকে
**‘সেই সংগ্রামই সাফল্যের পথপ্রদর্শক’
** আস্থার সংকটে বাংলাদেশ–জার্মানি সম্পর্ক!
** বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হাসি
** নিজেই মুমূর্ষু জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস