এ উপলক্ষ্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রত্যুষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ ও জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক আলোচনার সূত্রপাত করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ৩০ লক্ষাধিক শহীদদের আত্মত্যাগ এবং দুই লক্ষাধিক নারীর নির্যাতন ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তিনি বিনম্ভ্র চিত্তে ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের ওপরও তার বক্তব্যে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।
উল্লেখ্য যে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ’২১ বাংলাদেশ সরকার মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে; যেটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু উপর ম্যুরাল স্থাপন; ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের ভিয়েতনামীজ ভাষায় অনুবাদ এবং ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধু স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ’২১ ও ’৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে এবং ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস আলোচনা পর্বে বর্তমান বিশ্বে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত মৃত্যু হচ্ছে এবং বংলাদেশও এই ঝুঁকিতে আছে, সেজন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করে সমবেদনা ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশের জনগণসহ সারাবিশ্বে এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে নিরাপদ থাকার জন্য সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এসএইচএস/এএটি