ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

লাইফ ইন্সুরেন্সই ‘জীবনের’ নিশ্চয়তা

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১২
লাইফ ইন্সুরেন্সই ‘জীবনের’ নিশ্চয়তা

ইন্সুরেন্স নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে একধরনের এলার্জি আছে| অথচ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এক ব্যক্তিকে সাধারণ্যে বিরক্তিকর ব্যক্তিতে পরিণত করা হয়েছে ‘বিমার দালাল’ নাম দিয়ে| কিন্তু ইন্সুরেন্সের মতো প্রয়োজনীয় বিষয়টি কত মূল্যবান এবং জরুরি হতে পারে তা বোঝা গেছে, আমেরিকায় আসার পর| গাড়ির ইন্সুরেন্স থেকে শুরু করে মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স ছাড়া আমেরিকায় বসবাস অকল্পনীয়| এছাড়াও আছে কত ধরনের ইন্সুরেন্স| এমনকি ব্যাংকে আমরা যে অর্থ গচ্ছিত রাখি তারও ইন্সুরেন্স আছে| ডাকযোগে কোনো পার্সেল পাঠালে তারও ইন্সুরেন্স করতে হয়| ইন্সুরেন্স করতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করলে, খেলার মাঠে খেলতে নামলে, আরও কত কারণে|

নিউইয়র্কের তরুণ ইন্সুরেন্স কর্মকর্তা, বিখ্যাত ইন্সুরেন্স কোম্পানি ‘নিউইয়র্ক লাইফ’ এ কর্মরত মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ জানিয়েছেন, আকস্মিক যদি কারও বাবা মারা যান, তাহলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে অথৈ সাগরে পড়েন মা| অথচ যদি তাদের বাবার একটি লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি থাকত, তাহলে এই দুঃসময়ে তাদের হাবুডুবু খেতে হোত না| তারা বাড়ি ভাড়া বা মর্গেজ দিতে পারতো| কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা টিউশন ফি পে করতে পারতো| সেই সাথে নিত্য দিনের জীবন ধারণ তো আছেই|

মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে যতই কষ্ট হোক প্রতিটি মা বা বাবার পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ ডলারের লাইফ ইন্সুরেন্স থাকা উচিত| ১০ লাখ ডলারের পলিসি থাকলে মাসে ৪৬ ডলার পে করতে হয়| অবশ্য এই অঙ্কটি নির্ভর করবে ইন্সুরেন্স গ্রহীতার বয়স ও স্বাস্থ্যের ওপর| নিউইয়র্ক লাইফ বর্তমানে এই বিশেষ মূল্য অফার করছে|

মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ বলেন, মৃত্যুর মতো দুঃসংবাদ আর নেই| প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তার আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবরা শোক প্রকাশ করেন, ফিউনারেলে অংশ নেন, কিন্তু দাফন হয়ে যাওয়ার পর কিংবা কফিন দেশে চলে গেলে যে যার মতো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নিজের নিজের জীবন নিয়ে সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন| কেও ভাবেন না ওই পরিবারের কথা, যে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি চলে গেলেন| এটাই পৃথিবীর নিয়ম| তাই অন্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের ভবিষ্যতের কথা, সংসার ও সন্তানের কথা ভাবতে হবে আগেই| যাতে দুর্ঘটনাক্রমে আকস্মিক মৃত্যু হলে পরিবারকে পথে বসতে না হয়, না হয় অন্যের কাছে হাত পাততে, কিংবা না হতে হয় দিশেহারা|

লাইফ ইন্সুরেন্সের ব্লগে মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ এই অত্যন্ত মানবিক দিকটি তুলে ধরে একটি নিবন্ধ লিখেছেন| নিবন্ধটির শিরোনাম ‘মাই ফাদার্স লাইফ ইন্সুরেন্স চেক ইজ আ লাভ লেটার টু মি’| তিনি লিখেছেন যাদের দুর্ভাগ্যক্রমে লাইফ ইন্সুরেন্স নেই এমন ব্যক্তি মারা গেলে, কী অসহায় পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাদের পরিবারকে| যেমন আয় উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে তাদের ছেলেমেয়েরা| তাদের অনেকে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে না, বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ি ছেড়ে দিতে হয়, মর্গেজ পে করতে না পারায় বাড়ি যায় ফোরক্লোজারে| ব্যবসা থাকলে তাও বন্ধ হবার উপক্রম হয়| কিন্তু লাইফ ইন্সুরেন্স থাকলে এসব সংকট এড়ানো সম্ভব|

এ বিষয়ে জানতে ভিজিট করুন www.insurance4us.org

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।