ম্যানচেস্টার থেকে: সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রহসন চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ যুদ্ধাপরাধী হয় না।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে ভয়েস এগেইনস্ট অপ্রেশনের (ভিএও) উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে গোলাম আযমের ছেলে নোমান আযমী এসব কথা বলেন।
নোমান আযমী আরও বলেন, ‘আমার বাবা (গোলাম আযম) গ্রেফতারের আগে বলেছেন, তোমরা আমার জন্য চিন্তা করো না, দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য কাজ করে যাও, আমার জন্য আল্লাহ পাক আছেন। কাজেই আমাদের সবাইকে এই কথা স্মরণ রেখে দেশের স্বার্থে এই প্রহসনের বিচারের বিরোধ্যে সোচ্চার হতে হবে। ’
সমাবেশে অংশ নেয় আল্লামা সাঈদী পরিষদ, ওল্ডহাম বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন, ম্যানচেস্টার বাংলাদেশি নাগরিক সমিতি।
বাংলাদেশি নাগরিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় ম্যানচেস্টারের আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে প্রায় ৫০ জন অংশ নেয়।
এ প্রতিবাদ সভায় অধ্যাপক গোলাম আযমের বিলেতে বসবাসরত চার ছেলে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেন কেবল নোমন আযমী।
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, হাফেজ আমিনুর রহমান, মোঃ আফসার আহমেদ চৌধুরী, খতিব ওসামা আল মোসাদ্দেক, ইউকে বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ সিরাজ মিয়া, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব হোসেইন আহমদ আবুল কাশেম খান, ম্যানচেস্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কো-অরডিনেটর জামাল উদ্দিন খান, হাজী আলতাফ আলী, ওয়াহেদুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মাহাবুবুর রহমান, আঃ কাইয়ুম তালুকদার প্রমুখ।
গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন সাইমুম শিল্পী গোষ্টীর সাবেক পরিচালক ইকবাল হোসাইন।
প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে ভয়েস এগেইনস্ট অপ্রেশনের নেতা নোমান আহমদ, ইউকে বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ সিরাজ মিয়া, ম্যানচেস্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ শওকত আলী, আনসার হাবিব, মোঃ আহসান হাবীব সহকারী হাইকমিশনার জকি আহাদের কাছে বাংলাদেশ সরকার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১২