ঢাকা : ‘এসো দেশ গড়ি’ স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে আসছে জুন মাসের ২৩ ও ২৪ তারিখে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে ‘এবিসি কনভেনশন’ (আমেরিকা-বাংলাদেশ-কানাডা কনভেনশন)।
এ সম্মেলনের মূল আকর্ষণ হচ্ছে চলমান পরিস্থিতির আলোকে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার।
সেমিনারে থাকবে ‘বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ইস্যু’, ‘আউটসোর্সিং : বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের উন্নয়ন পরিকল্পনা’, ‘কর্পোরেট আমেরিকায় ভাগ্য গড়ুন : মেধার আর অপচয় নয়’ ‘দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরী কিনা’, ‘সোস্যাল মিডিয়ার সঙ্গে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংঘর্ষিক কিনা’, ‘পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে সন্তান-অভিভাবক দ্বন্দ্ব : সংকটে প্রবাসী কম্যুনিটি’, ‘পানি আগ্রাসন : ভাটি অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয়ে কতটা হুমকি’ বিবিধ।
সেমিনারের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জয়গান সম্বলিত দু’দিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে নিউইয়র্ক সিটির বিশ্বখ্যাত ‘এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড মেনর’ মিলনায়তনে।
উল্লেখ্য, গত ৩ বছর যাবত নিউইয়র্কে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ ও প্রবাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত একদল মেধাবী পেশাজীবীর অংশগ্রহণে।
এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের নীতি-নির্ধারকদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
এবিসি কনভেনশন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাংবাদিক লাবলু আনসার জানান, সম্মেলন উপলক্ষে ১৪৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির কনভেনর এবং সদস্য-সচিব হয়েছেন যথাক্রমে ঠিকানা পত্রিকার প্রেসিডেন্ট সাঈদ-উর রব এবং কম্যুনিটির সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এস এম জাহাঙ্গীর।
এছাড়া ২৩টি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলোর চেয়ারম্যান হচ্ছেন দেওয়ান শামসুল আরেফিন-সেমিনার,, মঞ্জুর হুসেন-অর্থ, জাবেদ খসরু-ম্যাগাজিন, মিজানুর রহমান-কালচারাল, আনিসুল কবীর জাসীর-মার্কেটিং, ড. ফেরদৌস খন্দকার-ফার্স্টএইড, কয়সর রশীদ-মিডিয়া, এনায়েত করিম বাবুল-ফিল্ম, এল কবির-অতিথি আপ্যায়ন, অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার-লিগ্যাল এইড, সৈয়দ এনায়েত আলী-নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নাহিদ-উর রব-পরিবহন, মোহাম্মদ জামান তপন-হোটেল ব্যবস্থাপনা, আব্দুল্লাহ আল জাহিদ হাসান-ওয়েবসাইট, শামীম মাহমুদ লিটন-শব্দ ও আলোকসজ্জা, শেখ মুকিত-মঞ্চ ব্যবস্থাপনা, মাযহারুল ইসলাম জনি-ভলান্টিয়ার গ্রুপ, আবুল কাশেম-তথ্য, ফারজানা পপি এবং তাহমিনা খায়ের-রেজিস্ট্রেশন, আহমেদ সাকলায়েন-গেস্ট এন্টারটেইনমেন্ট এবং সামিউর-রব-ইয়ুথ গ্রুপ।
সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ঘটানোর ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমেরিকার কলেজ-ভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এবং গ্র্যাজুয়েশনের পর যারা চাকরিতে প্রবেশ করেছেন তারাও আসবেন বিভিন্ন সেমিনারে।
সেমিনারে বিবিসি, ভয়েজ অব আমেরিকা, নিউইয়র্ক টাইমস, সিপিজে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, ক্যাপিটল হিল, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, নিউইয়র্ক সিটি এবং নিউইয়র্ক রাজ্য গভর্নর অফিসের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন বলে আয়োজকরা আশা করছেন। বাংলাদেশের কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত দু’বছরের মত এবারও যুক্তরাষ্ট্রে স্ব স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে যেসব বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তাদের বিশেষভাবে সম্মান জানানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সালে দ্বিতীয় সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে খেতাব পেয়েছেন- তাদের বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়েছে।
এরমধ্যে একজন বীরবিক্রম, ৪জন বীর প্রতীক এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ৪ শিল্পী ছিলেন।
গত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলমান রাষ্ট্রদূত ড. ওসমান সিদ্দিক। এবারের সম্মেলনেও তেমন একজন কৃতি বাঙালিকে খোঁজা হচ্ছে সম্মেলনের উদ্বোধন করার জন্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২