বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাজি গিয়াসউদ্দিনের চার দশকের সৃষ্টি থেকে বাছাইকরা কাজ নিয়ে টোকিওতে প্রকাশ করা হয়েছে তার নতুন একটি অ্যালবাম। বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ইউরোপের নেতৃস্থানীয় শিল্প বিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা স্কিরা যৌথ উদ্যোগে অ্যালবামটি প্রকাশ করে।
জাপানে বাংলাদেশের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. জীবন রঞ্জন মজুমদার এবং বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকারী সাবেক তিন জাপানি রাষ্ট্রদূত- মাৎসুশিরো হোরিগুচি, ইয়াসুশি ইনোওউয়ে এবং তামোৎসু শিনোৎসুকা ছাড়াও জাপানের সাবেক মন্ত্রী হাকুও ইয়ানাগিসাওয়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি, উন্নয়ন বিষয়ক সংবাদ সংস্থা আরপিএস এর জাপান প্রতিনিধি সুভেন্দ্রিনি কাকুচি`র সঞ্চালনে শিল্পীর নিজস্ব বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত মূল রচনার লেখক এফসিসি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দৈনিক প্রথম আলোর জাপান প্রতিনিধি মনজুরুল হক এবং অ্যালবামের সম্পাদক ও স্কিরা`র এশীয় শিল্প বিষয়ক কিউরেটর রোজা মারিয়া ফালভো।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের কয়েকজন তাদের নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
শিল্পী গিয়াসউদ্দিন তার ভাষণে নিজের অপারগতার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে তার আঁকা ছবির মধ্য দিয়ে তাকে খুঁজে দেখার অনুরোধ জানান অতিথিদের। বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল হল শিল্পী হিসেবে কাজি গিয়াসউদ্দিনের স্বার্থকতা এবং প্রকৃতির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলার প্রকৃতির থেকে খুঁজে পাওয়া অনুপ্রেরণা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে জাপানে লাভ করা শিক্ষা খুবই দক্ষতার সাথে প্রয়োগ করতে পারছেন বলেই বাংলাদেশ ও জাপান উভয় দেশেই শিল্পী অনুরাগীদের কাছে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছেন।
অ্যালবাম সম্পাদনাকারী ইতালিয় শিল্প গবেষক মারিয়া ফালভো তার বক্তব্যে শিল্পী হিসেবে কাজি গিয়াসউদ্দিনের স্বার্থকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিল্পীর ছবি যেন নিজেদের কথা নিজেরাই বলে।
সবশেষে উপস্থিত অতিথিরা নৈশভোজে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ, ২০১২