ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

রক্ত বের হলে, চোখে ড্রপ দিলে ও ইঞ্জেকশন নিলে রোজা নষ্ট হয় না

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৬
রক্ত বের হলে, চোখে ড্রপ দিলে ও ইঞ্জেকশন নিলে রোজা নষ্ট হয় না

রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে

 

প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় যদি শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্ত বের হয় কিংবা সিরিঞ্জ দিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করা হয় তাহলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?

উত্তর : রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙ্গে না। তদ্রুপ সিরিঞ্জ দ্বারা বের করা হলেও রোজা ভাঙ্গে না।

তবে বিশেষ ওযর ছাড়া শরীর থেকে ইচ্ছাকৃত এ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার কারণে ওই দিন রোজা পূর্ণ করার শক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। -সূত্র : সহিহ বোখারি, হাদিস ১৯৩৮, ১৯৪০; ফিকহুন নাওয়াযিল- ২/৩০০

রোজা রেখে চোখে ড্রপ দিলে
প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় চোখে ড্রপ ব্যবহারের ফলে মুখে তিক্ততা অনুভব হলে কী রোজা ভেঙ্গে যাবে?

উত্তর : না, রোজা অবস্থায় চোখে ড্রপ ব্যবহার করলে রোজা ভাঙ্গবে না। এমনকি এর তিক্ততা মুখে বা গলায় অনুভব হলেও রোজা ভাঙ্গবে না। এ মাসয়ালাটি সাধারণ কিয়াসের বহির্ভুত সরাসরি আসার দ্বারা প্রমাণিত। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ৩/৩৭৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৪৪

রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করলে
প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে? এতে কি রোজা নষ্ট হয়ে যাবে?
উত্তর : রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা মাকরূহ। আর পেস্ট বা মাজন গলার ভেতর চলে গেলে রোজাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন ব্যবহার করা যাবে না। টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে ব্রাশ করতে হলে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগেই করে নিতে হবে। সূত্র : ইমদাদুল ফাতাওয়া: ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ: ৩/৫১৮

রোজা অবস্থায় স্যালাইন বা ইঞ্জেকশন নিলে
প্রশ্ন : রোজা অবস্থায় যদি কেউ স্যালাইন বা ইঞ্জেকশন নেয় তাহলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে? তেমনি অসুস্থ অবস্থায় কেউ যদি গ্লুকোজ স্যালাইন নেয় তাহলে কি তার রোজা সহিহ হবে?

উত্তর : স্যালাইন বা ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভাঙ্গে না। তেমনিভাবে অসুস্থতার কারণে গ্লুকোজ স্যালাইন নিলেও রোজার ক্ষতি হবে না। তবে অসুস্থতা ছাড়া গ্লুকোজ স্যালাইন নেওয়া নাজায়েয। -সূত্র : আলাতে জাদিদা কে শরয়ি আহকাম: ১৫৩

রোজা অবস্থায় বমি হলে
প্রশ্ন : রমজান মাসে রোজা অবস্থায় অসুস্থতার কারণে এক ব্যক্তির বমি হয়। এর দ্বারা কি তার রোজা ভেঙ্গে গেছে? এখন তার করণীয় কী?

উত্তর : না, এ কারণে তার রোজা ভাঙ্গেনি। কেননা রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (যদি তা বেশিও হয়) রোজা ভাঙ্গে না। অবশ্য কেউ ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। হাদিসে আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, রোজা অবস্থায় (অনিচ্ছাকৃত) বমি হলে তা কাজা করতে হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃত বমি করলে সে যেন তা কাজা করে নেয়। -সূত্র : তিরমিজি, হাদিস ৭২০; আল মুহিতুল বুরহানি: ৩/৩২৬

রমজানের রোজাসহ ইসলামের অন্যান্য বিষয়ে জানতে আপনিও প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। প্রতি শনিবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন- [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘন্টা, জুন ০৬, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।