ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

ছোটবেলায় সেহেরিতে ঘুম থেকে না তুললে রাগ করতাম: আ জ ম নাছির উদ্দীন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
ছোটবেলায় সেহেরিতে ঘুম থেকে না তুললে রাগ করতাম: আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: পবিত্র রমজান মাসে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সমাজে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের শৈশব, কৈশোর ও বাল্যকালের রোজার স্মৃতি জানার চেষ্টা করেছে। আজকের আয়োজনে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি। বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আল রাহমান কথা বলেছেন আজকের অতিথির সঙ্গে। সেই আলাপচারিতায় চুম্বুকাংশ পাঠকের জন্য-

ছোটবেলায় জীবনকে উপভোগ করা যায়
ছোটবেলার রোজা রাখার স্মৃতি জানতে চাইলে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দাদা-দাদিকে হারিয়েছি অনেক অল্প বয়সে। নানা-নানি ছিল। আমি তো শহরে বড় হয়েছি। চট্টগ্রাম শহরেই আদি নিবাস। নানার বাড়ি যেতাম বিভিন্ন উপলক্ষে, বছরে একবার।  

ছোট বয়সে রোজা রাখার জন্যে কোনো চাপ থাকে না। চাপমুক্ত সবাই। স্বাভাবিক কারণে কোনো টেনশন থাকে না। কোনো পিছুটান থাকে না। জীবনটাকে তো ওই সময়ই উপভোগ করা যায়। আমিও উপভোগ করেছি।

রোজা রাখতে পারাটাই ছিল আনন্দের
কত বছর বয়স থেকে রোজা রাখা শুরু করেছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেহেরি-ইফতার স্বাভাবিকভাবে করেছি। পরিবারের সব সদস্য মিলে একসাথে ইফতার করা আনন্দের। যেহেতু বড় পরিবার, ভাইবোন বেশি ছিলাম। আমার বড়ই তো তিনজন। আমরা মোট ছয় ভাই, তিন বোন। স্বাভাবিকভাবে একসাথে সেহেরি, ইফতারে সবাই আনন্দ করতাম। আর ছোট বয়সে রোজা রাখতে পারাটাই ছিল একটা আনন্দের কাজ।

ঠিক এ মুহূর্তে মনে নেই। অনেক অল্প বয়স থেকে রোজা রেখেছি। আমরা একটা রক্ষণশীল পরিবার। ভাই-বোন সবাই রোজা রাখতাম। রোজা রাখা নামাজ পড়া পারিবারিক রেওয়াজ। আমার জানা মতে, যখন থেকে বুদ্ধি হয়েছে তখন থেকে রোজা রাখছি।

দুধ-ভাত-কলা দিয়ে মেখে খেতাম
শৈশবে সেহেরি বা ইফতারের আকর্ষণ কী ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেহেরিতে দুধ-ভাত ছিল অন্যতম আকর্ষণ। অর্থাৎ দুধ-কলা-ভাত মেখে খেতাম। ভাতটাকে দুধ দিয়ে, খাঁটি ঘি দিয়ে মেখে খাওয়া হতো সেহেরিতে। ঘরে ঘরে এটা ঐতিহ্য বলা যায় আমাদের।

সেহেরিতে ঘুম থেকে তুলতে না চাইলে বায়না ধরতাম, রাগ করতাম। আমাকে অবশ্যই তুলতে হবে। আর অন্য দশটা বাচ্চার মতো ছিলাম। বাচ্চাদের নেচারটা তো একই। ধনী দরিদ্র সব বাচ্চার নেচার একই। বড় হওয়ার পরই পার্থক্য তৈরি হয়। যেমন বড়লোকের ছেলেরা কাজের ছেলের সাথে খেলা করে না! আমরা শৈশবে রমজানকে, তারাবির নামাজকে উপভোগ করতাম। রমজানের জন্যে অপেক্ষায় থাকতাম, অপেক্ষা করতাম ঈদেরও। কখন একফালি বাঁকা চাঁদ উঠবে। কখন সাইরেন পড়বে। কখন ঈদের জামা সেলাই করতে দেবো।

সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখি
শৈশবের অভ্যাসটা এখন কাজে দিচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজান মাসের ফরজ রোজার বাইরেও আমি রোজা রাখি। অনেক বছর থেকে সপ্তাহে দুই দিন নফল রোজা রাখছি, সোমবার ও বৃহস্পতিবার। এছাড়া আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখি। সেই সঙ্গে শবেবরাত, শবেমেরাজ ও আশুরার নফল রোজাও রাখি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
এআর/আইএসএ/টিসি/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।