ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

তারাবির ইমামতিতে এক যুগ মাওলানা আবু দুজানার

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
তারাবির ইমামতিতে এক যুগ মাওলানা আবু দুজানার হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু দুজানা: ছবি- অনিক খান

ময়মনসিংহ: ২৮ বছর বয়সী হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু দুজানা। প্রায় এক যুগ যাবত তিনি ময়মনসিংহের গর্ব ও ঐতিহ্যের স্মারক বড় মসজিদে তারাবির নামাজে ইমামতি করছেন।

এ দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন তিনি। তার ভাষ্যে, আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।

ভাবতে ভালো লাগে দ্বীন এবং ইসলামের খেদমত করতে পারছি।  

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের রমজানের পুরো হক আদায় করার তওফিক দান করেন।

শুক্রবার (২৬ মে) বাদ মাগরিব মসজিদের অফিস কক্ষে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে নিজের তারাবি নামাজের ইমামতি করার গল্প বলে যাচ্ছিলেন তিনি এভাবেই।  

তার সঙ্গে মুক্তাগাছার মাওলানা হাসান বোখারি নামের আরেকজন হাফেজ তারাবির ইমামতি করবেন।  

হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু দুজানা বাংলানিউজকে জানান, একদিন ১২ রাকাত ও পরের দিন ৮ রাকাত করে তিনি তারারিব নামাজ পড়াবেন।

বাকী রাকাতগুলোর ইমামতি করবেন অন্য ইমাম। প্রথম ৬ দিন তিনি দেড় পারা আর বাকী দিনগুলোতে এক পারা করে তেলাওয়াত করবেন।  

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ দিয়ে তারাবির নামাজে ইমামতি করার যাত্রা শুরু হয় আবু দুজানার। তার কথায়, ছোটবেলায় হেফজ শেষ করার পর এ মসজিদেই থাকতাম।  

ইমাম সাহেবের পেছনে দাঁড়িয়ে তারাবির নামাজ আদায় করতাম।  

হঠাৎ একদিন বড় হুজুরের অনুপস্থিতিতে হেফজ খানার প্রধান শিক্ষক হাফেজ ফেরদৌস নামাজ পড়ান। তিনি সেদিন ৮ রাকাত তারাবি পড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে আমার কাছে জানতে চাইলেন আমি তারাবি পড়াতে প্রস্তুত কিনা?

আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলতেই তিনি তারাবি পড়ানোর সুযোগ করেদিলেন। সেই থেকে শুরু হয় তারাবি নামাজের ইমামতি। দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় এক যুগ।

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে তারাবি পড়ালেও মাঝে দু’বছর আকুয়া মাদরাসা কোয়ার্টার মসজিদে তারাবির পড়ান আবু দুজানা। এরপর মসজিদ কর্তৃপক্ষ আমাকে এখানে ফিরিয়ে আনেন।  

ময়মনসিংহ বড় মসজিদে তারাবির নামাজের বিশেষত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে ধীর-স্থিরভাবে তারাবির নামাজ পড়ানো হয়। কোনো রকম তাড়াহুড়ো করা হয় না।

সময় নিয়ে নামাজ পড়তেই নগরীর নানা প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এখানে আসেন। প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মুসল্লি তারাবির নামাজ আদায় করেন এই মসজিদে।

তারাবির নামাজ পড়াতে কেমন লাগে জানতে চাইলে আবু দুজানার সোজাসাপ্টা জবাব, তারাবির নামাজ পড়িয়ে মনে ভিন্ন এক প্রশান্তি অনুভূত হয়।

নামাজ শেষে অনেকেই বুকে জড়িয়ে ধরেন। কপালে চুমো খান। মুসাফা করেন।  

মাওলানা আবু দুজানা বড় মসজিদ সংলগ্ন জামিয়া ফয়জুর রহমানের হাদিস বিভাগে ৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন।  

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএএএম/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।