ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

নৃ-গোষ্ঠীর আগে ‘ক্ষুদ্র’ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: সুপ্রদীপ চাকমা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
নৃ-গোষ্ঠীর আগে ‘ক্ষুদ্র’ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: সুপ্রদীপ চাকমা

বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, নৃ-গোষ্ঠীর আগে আমরা ‘ক্ষুদ্র’ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না। সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টাও ‘ক্ষুদ্র’ শব্দটির ব্যবহার করতে চান না।

মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা —যেই জাতি হই না কেন, ক্ষুদ্র বা বৃহৎ কিছুই না।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে রাজার মাঠে মৈত্রী পানিবর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন,দেশি-বিদেশি পর্যটক বান্দরবানে আসুক— এটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠীর এমন সংমিশ্রণ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।  

পাহাড়ে অশান্ত পরিস্থিতির বিষয়ে সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অগ্রগতির মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধি দল পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে অংশ নেন। সেই সঙ্গে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আরা রিনি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমাসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ এপ্রিল থেকে বান্দরবানে শুরু হওয়া মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের শেষ দিনে মৈত্রী জলবর্ষণ আর মনোরম সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন সুপ্রদীপ চাকমাসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা। সেসময় পুরোনো বছরের সব গ্লানি মুছে নতুন জীবনে সখু ও শান্তি প্রত্যাশা করা হয়। আর মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানোর পাশাপাশি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ১১টি নৃ-গোষ্টিসহ বাঙালি সম্প্রদায়ের শিল্পীরা লোকজ সংগীত, নৃত্য ও বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে আনন্দ উদযাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।