ঢাকা, বুধবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

নরসিংদীতে বাড়িতে ঢুকে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
নরসিংদীতে বাড়িতে ঢুকে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা আমির হোসেন সরকার

নরসিংদীতে পূর্ব বিরোধের জেরে আমির হোসেন সরকার (২৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আলোকবালি ইউনিয়নের আলোকবালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহত আমির হোসেন সরকার আলোকবালি গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। তিনি আলোকবালি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ থাকায় সরকার পতনের পর ইউপি সদস্য আমির হোসেন সরকার নরসিংদীতে বসবাস করতেন। সোমবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে ৮ বছর পর দেশে আসেন আমিরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম। প্রবাসফেরত বড় ভাইকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি ফেরেন আমির। তার এলাকায় আসার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষের ৮ থেকে ৯ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে তার ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় বড় ভাইসহ দুইজন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্পিডবোটে করে বিকেল ৪টায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের বড় বোন সালেহা বলেন, এলাকাবাসী আমার ভাইকে ভালোবাসে, তাই তারা জোড় করে ভাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায়। এই নির্বাচনে বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার মিয়ার (৫৬) সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভাই ও আব্দুল জব্বার ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ও ভাই বিজয়ী হয়। এ ঘটনার জেরে জব্বার ও তার লোকজন ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ বছর পর মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছি। ভাই আমাকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। আমার চোখের সামনে ভাইকে কুপিয়ে মেরে ফেললো। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি। আমি ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সজীব সাহা বলেন, আমির নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।