ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

বেগমগঞ্জে অফিস কক্ষে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
বেগমগঞ্জে অফিস কক্ষে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে অফিস কক্ষে ঢুকে প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিককে (৫৪) বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয় কিছু লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে আশ্রয় দেন।  

হামলার শিকার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিক বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী গত ২৪ অক্টোবর তৎকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাসিম বিল্লার সামনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে জোর করে আমার থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি লিখিতভাবে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এ ঘটনার একদিন পর আমি বিদ্যালয়ে গেলে মুক্তারসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে বাধার সৃষ্টি করে এবং জোরপূর্বক থাকতে দেয়নি।  

তিনি আরও বলেন, এরপর এ ঘটনায় আমি নোয়াখালী বেগমগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত ওই পদত্যাগ পত্রের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেন, ডাক্তার পারভেজ ও পাক ছমিরমুন্সি বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক অফিস কক্ষে ঢোকে। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে শার্ট, প্যান্ট, ছিঁড়ে অর্ধ উলঙ্গ করে অফিস থেকে বের করে দেয়।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমার ভাই ও আমার কোনো লোক এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেই। ওই শিক্ষক দুর্নীতিবাজ, এজন্য স্থানীয় লোকজন তাকে পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। তারা কেন পিটিয়েছে এর উত্তর আমি জানি না। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তিনি স্কুলে ঢুকতে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারের কোনো অনুমতি নেননি। উল্টো সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকেন। এর আগেও তিনি একবার সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকতে চেষ্টা করেন।  

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান জানান, যারা প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে তারাই তাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয় না। প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতে পারেন না। স্কুলে যেহেতু যেতে পারেন না, সেহেতু তাকে তো আমরা প্রটেকশন দিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতে পারব না। সে ক্ষেত্রে আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের মতামত নিয়ে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে দিয়েছি।

ইউএনও আরও বলেন, ওই শিক্ষক আদালতে মামলা করেছেন। আদালতে যদি রায় পান ভালো কথা, আদালত যদি তাকে নির্দেশনা দেন। তাহলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।