ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

একই কক্ষে একাধিক শ্রেণির পাঠদান!

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
একই কক্ষে একাধিক শ্রেণির পাঠদান! একই কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান চলছে

চাঁদপুর: একতলা ভবনের কক্ষ মাত্র দুটি। ওই ভবনের সিঁড়ির নিচে বসে দাপ্তরিক কাজ সারেন শিক্ষকরা।

একই কক্ষে পাঠদান করা হয় একাধিক শ্রেণির।  

এই চিত্র চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ নিজ মেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন ও পৌর ভবন থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  

সম্প্রতি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়- একটি কক্ষে একইসঙ্গে দুই শ্রেণির পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন শিক্ষিকা। শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান চালিয়ে যান ছয়জন শিক্ষিকা। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে মাত্র দুটি শ্রেণি কক্ষ। নেই কোনো অফিস রুম। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সিঁড়ির নিচে বসে অফিস করেন।

সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিশু শ্রেণি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান চলে। ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান। এতে করে একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণি ও আরেকটি কক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন শিক্ষিকা। নিজেদের কাছে বিষয়টি দৃষ্টিকটু মনে হলেও বাধ্য হয়েই তারা এই কাজটি করে যাচ্ছেন বলে জানান।

সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, একটি কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের অফিস নেই, নামাজের স্থান নেই।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবন ভেঙে ২০১৭ সালে দুই রুমের নতুন ভবন করা হয়। সে সময় শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার জন্য উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য আশ্বস্ত করা হয়। আট বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এতে করে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার বলেন, ২০১৭ সালে তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তারপর থেকেই প্রতিবছর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য লিখিত আবেদন করে যাচ্ছেন কিন্তু কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি।

শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির ভবন প্রয়োজন। আমরা কয়েকবার তালিকা ভুক্ত করে ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এমনকি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকা পাঠানো হয়েছে কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।