ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩০, মে ৩, ২০২৫
জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান

কক্সবাজার: জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট নতুন নতুন সমস্যা চিহ্নিত করে গবেষণালব্ধ কারিগরি সমাধানের ওপর প্রতিবেদন তৈরির জন্য এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) কক্সবাজার জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।  

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এনভায়রনমেন্টাল ওশানোগ্রাফি অ্যান্ড ক্লাইমেট বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু শরিফ মো. মাহবুব- ই-কিবরিয়া মূল আলোচনা করেন।  

কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে বক্তৃতা দেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক।

জলবায়ু পরিবর্তন, কারণ, প্রভাব, গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টির ধরনে পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও সংখ্যা, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, খাদ্য ও পানির অভাব, কৃষি উৎপাদন ব্যাহত এবং সুপেয় পানির সংকট ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।  

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন, ভূমিধস নিয়ে কারিগরি ব্যাখ্যা উপস্থাপনা করা হয়।  

জটিলতা ও বিশেষায়িত জ্ঞানের অভাব, তথ্য ও পরিমাপের অভাব, প্রবেশগম্যতা, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণ, সময়ের অভাব এবং ডেডলাইন, মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি প্রচলিত রিপোর্টিংয়ের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, গবেষণা, স্থানীয় প্রকৃতির পরিবর্তন, কৃষকদের দক্ষতা ও সীমাবদ্ধতা, বছর ওয়ারি রিপোর্টিং শিডিউল, ফ্যাক্ট চেক, প্রান্তিক মানুষের অভিজ্ঞতা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন, সমাধানের লক্ষ্যে ফলোআপ রিপোর্টিং ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।

আবহমানকাল থেকে গণমানুষের অভিযোজন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট নতুন নতুন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে গবেষণালব্ধ কারিগরি সমাধানের ওপর রিপোর্ট তৈরির জন্য সাংবাদিকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

স্থানীয় সমস্যার বৈশ্বিক ধরন ও প্রযুক্তিগত দিক বিশ্লেষণ করে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন আলোচকরা।  

জেলার সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে আরও ভূমিকা রাখার জন্য সাংবাদিকরা জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটকে অনুরোধ জানায়।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।