ঝালকাঠিতে কারারক্ষী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
অভিযোগে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি, শারীরিক হয়রানি, বৈষম্যমূলক আচরণ ও প্রার্থীদের প্রতি অপেশাদার মনোভাব প্রদর্শন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলা কারাগারের প্রধান ফটকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ পাঠান এবং এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমানের কাছে হাতে হাতে জমা দেন।
অভিযোগের মূল বিষয়গুলো:
শারীরিক মাপজোখে অনিয়ম: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা প্রয়োজন হলেও, শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও অনেককে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বাইরের জেলার প্রতি বৈষম্য: ঝালকাঠির বাইরের জেলার প্রার্থীদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়েছে ।
অশালীন আচরণ: কর্তৃপক্ষের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে অশোভন ও রূঢ় আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
হয়রানি ও নির্যাতন: প্রতিবাদ জানানো প্রার্থীদের সঙ্গে শারীরিক হয়রানি, এমনকি কারও শিক্ষাগত সনদ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে ছিলেন— মাহফুজুর রহমান (পটুয়াখালী), মো. শাওন (ভোলা), ফাহিম (বরগুনা), মো. আবির কাজী (পিরোজপুর), মো. ছাব্বির (বরিশাল), ও রাহাত (ঝালকাঠি)।
তারা অভিযোগপত্রে নিয়োগ বাতিল করে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি কারাধ্যক্ষ লিপি রানি সাহার সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঝালকাঠি জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জেল হোসেন খান বলেন, আমি বাসায় আছি। নিয়োগ কমিটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।
এ সময় তার কাছে নিয়োগ কমিটির নম্বর চাওয়া হলেও তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এসআরএস