গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পাড়কোনা মহাশ্মশানে র্যাব-৭ এ কর্মরত সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে পলাশের লাশের ওপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ গ্রামের বাড়ি তারাশিতে এলে মা রমারানী সাহার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সেখানে থাকা লোকজনেরও চোখ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত পলাশের মা কান্নার মধ্যে বার বার ছেলের বউয়ের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এএসপি পলাশ সাহা কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে পালাশ ছিলেন সবার ছোট। গত বুধবার র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলা থেকে এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ উদ্ধার করে। মা ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে কর্মস্থলে থাকতেন। গ্রামের বাড়িতে থাকে তার বড় দুই ভাই।
এদিকে পলাশ সাহার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না গ্রামবাসী। পলাশের মতো নিরীহ ও মেধাবী ছেলে এই গ্রামে ছিল না। তার এভাবে চলে যাওয়াতে এলাকাবাসী খুবই শোকাহত।
পলাশ সাহার ভাই নন্দ লাল সাহা বলেন, বিয়ের পর থেকেই পলাশের মাকে দেখতে পারতেন না সুষ্মিতা সাহা। মা পলাশের সঙ্গে থাকুক তা সে চাইতেন না। এনিয়ে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। পলাশ মাকে খুব ভালোবাসতেন। সে চাইতো মা সব সময় তার কাছে থাকুক।
** ‘কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না'
এসআরএস