ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

‘রাজাবাবু’ ও ‘কালা মানিক’-কে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৪৮, মে ২২, ২০২৫
‘রাজাবাবু’ ও ‘কালা মানিক’-কে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ পাবনায় খামারে বিশালাকৃতির দুই ষাঁড় ‘রাজাবাবু’ ও ‘কালা মানিক’

পাবনা: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌড়িগ্রামের দুটি বিশাল আকৃতির কোরবানির পশু জেলাতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। খামারি আদর করে ষাঁড় দুটির নাম দিয়েছেন ‘রাজাবাবু’ ও ‘কালা মানিক’।

 

বিশাল আকৃতির এই দুই ষাঁড় দেখতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষসহ ক্রেতারা। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এদেরকে লালনপালনে যে খরচ হয়েছে সেই অনুসারে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন খামারি।  

জেলার সাঁথিয়া উপজেলার গৌড়িগ্রামে সরকার অ্যাগ্রো ফার্মের খামারি মো. আনিসুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরেই ষাঁড় লালনপালন করছেন। তবে এই বছরে তিনি কোরবানির জন্য অতিযত্নে তার নিজ খামারে দুটি ষাঁড়কে বিশালাকৃতির করেছেন। কালো সাদা বর্ণের অস্ট্রেলিয়ান সাহিয়াল ক্রস জাতের ১ হাজার ২০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৩০ মণ ওজনের একটি ষাঁড়। নাম দিয়েছেন ‘রাজা বাবু;। সাড়ে তিন বছর বয়সী এই ষাঁড় উচ্চতায় ৬৮ ইঞ্চি, লম্বায় ১১ ফিট। অপরদিকে ৬ দাঁতের সমবয়সি কালো ষাঁড়ের নাম  ‘কালো মানিক’। এটি পাকিস্তানি সাহিয়াল ক্রস জাতের।  

খামারি আনিসুর রহমান বিশালাকৃতির ষাঁড় দুটির দাম চেয়েছেন জোড়া কিনলে ৩০ লাখ টাকা। দুই বছর আগে এই ষাঁড় দুটি ১২ লাখ টাকায় কিনেছিলেন তিনি। তার খামারে আরো ১৪টি উন্নত জাতের ষাঁড় ও দুটি রামভুটানি ষাঁড় রয়েছে। সবাই আসন্ন কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য।

দুই বিশালাকার ষাঁড়ের মালিক খামারি মো. আনিসুর রহমান বলেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরে অনেক যত্ন নিয়ে এই পশুগুলো লালনপালন করতে হয়। খাবারের যে খরচ নিজে না খেয়ে গরুকে খাওয়াতে হয়েছে। নিজে গরমে থেকেছি কিন্তু গরুকে ফ্যানের নিচে রেখেছি। মশা মাছির হাত থেকে রক্ষায় যত্ন নিয়েছি। এখন এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি যে, ষাঁড়গুলো বেচে দেনা পরিশোধ করতে হবে। সংসার চালাতেই বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, পৈত্রিকভাবে এই পশুর খামার করে আসছি। এই বছরের মতো এমন ক্রেতা সংকট আর কোনো বছরে দেখিনি। বিগত বছরে পশু দেখার আগেই বুক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই বছরে খুবই কম ক্রেতা আসছেন। দামটা তুলনামূলক কম বলছে। আশায় আছি যদি ভালো ক্রেতা ও দাম পেলে বিক্রি করে দেব।

অন্যান্য খামারিরা জানান, আনিসুর রহমানের খামারের প্রতিটি গরুই বেশ সুন্দর ও হৃষ্টপুষ্ট। খামারের সবচাইতে বড় ষাঁড় দুটি রাজা বাবু ও কালামানিক ওজন ১০০ কেজি প্লাস। ষাঁড় দুটির রং ও চেহারা অনেক সুন্দর। খামারি যে যত্ন নিয়ে এই কোরবানির জন্য পশু দুটিকে বড় করেছেন সেই তুলনায় দাম খুব একটা বেশি হয়নি। তবে এবারের বাজারের ক্রেতার সংখ্যা চাহিদা অনুসারে পশুর দাম পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। প্রতিটি খামারি তাদের পশু বিক্রি নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন।

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।